মাড়ি প্রদাহের একটি অন্যতম লক্ষণ মাড়ি ফুলে যাওয়া। এ ছাড়া মাড়ি লাল হয়ে যাওয়া এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কোনো কোনো সময় মাড়ি দিয়ে পুঁজও পড়ে।
কারণ
♦ মাড়ির প্রদাহ
♦ পায়োরিয়া
♦ আক্কেল দাঁতের প্রদাহ
♦ দাঁতের গোড়ায় প্রদাহ
♦ প্রেগন্যান্সির কারণে মাড়ি ফুলে যাওয়া
♦ বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
♦ ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি’-এর অভাব
♦ মুখের শুষ্কতার জন্য মাড়ির রোগের কারণেও মাড়ি ফুলে যেতে পারে।
মাড়ি ফুলে যাওয়া রোধে করণীয়
মুখের দাঁত ও মাড়িতে সমস্যা থাকলে তা চিকিৎসকের পরামর্শে সমাধান করতে হবে। রাতে শোবার আগে ও সকালে নাশতার পর দিনে দুইবার ব্রাশ করতে হবে। রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
মুখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
মুখে দন্ত পাথুরি হলে স্কেলিং করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করে মাড়ি ফোলা রোধ করা যায়। অপরদিকে লবণ-গরম পানি মাড়ি ফোলা রোধে অনেক উপকারী। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরও মাড়ি ফোলা খুব বেশি হয়ে থাকে এবং তা নিরাময় করা কষ্টসাধ্য হয়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাকে বেশি সচেতন হতে হবে। প্রেগন্যান্সির ৯ মাস মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে ও পরে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
মাড়ির রোগ এখন শুধু মাড়ি ফোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মাড়ির রোগের কারণে শারীরিক ৩০-৩৫টি রোগ হয়ে থাকে।
বিভিন্ন গবেষণায় এ তথ্য জানা যাচ্ছে। হৃদরোগ এরই মধ্যে শীর্ষ ঘাতক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা মাড়ির রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই দুই বেলা ব্রাশ করে মাড়ির রোগসহ শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. অনুপম পোদ্দার
অধ্যক্ষ
খুলনা ডেন্টাল কলেজ