শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার গণভবনে তাঁর সঙ্গে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারকে ঘিরে বড় কেন্দ্রীয় বাজার হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অঙ্গনে পা রাখবে। এ ব্যাপারে তিনি ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য দেশটির জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতালির সহায়তা কামনা করেন।
ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশে যেন কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ইতালিকে বৈধ উপায়ে আরো বাংলাদেশি জনবল নেওয়ার অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর মাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রদানে তাঁর দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) স্বাগত জানায়, তবে এর অপব্যবহার রোধে কিছু সুরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষাব্যবস্থা নিতে হবে।’
গণভবনে গতকাল তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অব দ্য হোলি সি’র আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসব উদযাপন করি।’