ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

বসুন্ধরার সিলিন্ডারে অন্য গ্যাস ভরে প্রতারণা, ফিলিং স্টেশন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
শেয়ার
বসুন্ধরার সিলিন্ডারে অন্য গ্যাস ভরে প্রতারণা, ফিলিং স্টেশন বন্ধ

খুলনা শহর সংলগ্ন উপজেলার একাধিক ফিলিং স্টেশন থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস ভর্তি করার রমরমা ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় বসুন্ধরা গ্যাস কম্পানির সিলিন্ডার ব্যবহার করা (ক্রস ফিলিং) হচ্ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হওয়ার পর জেলা প্রশাসন অভিযানে নামে। গত মঙ্গলবার অভিযানে ডুমুরিয়ার সুরাইয়া অটো এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে অনিয়ম হাতেনাতে ধরা পড়ে।

এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে ফিলিং স্টেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খুলনার বাইপাস সড়কের অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি স্থানে সুরাইয়া অটো এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশন। অধিক লাভের আশায় এবং শুল্ক ফাঁকি দিতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডারে এই গ্যাস ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিল তারা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে একটি পিকআপ ক্রস ফিলিং করা গ্যাস নিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার উদ্দেশে যাচ্ছিল।

খবর পেয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন। পরে অভিযানকারীরা ওই ফিলিং স্টেশনে ক্রস ফিলিংয়ের প্রমাণ পান। ক্রস ফিলিং করার সিল এবং বিভিন্ন গ্যাস বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠানের স্টিকারসহ ৯৮টি খালি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়। সেখানে বসুন্ধরা গ্যাস কম্পানির বোতলেও ক্রস ফিলিং করা হচ্ছিল।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের কবির আজম জানান, যানবাহনের গ্যাসের চেয়ে রান্নার গ্যাসের দাম অনেক বেশি। উপরন্তু সেখানে জব্দ করা প্রতিটি সিলিন্ডারে ১২ কেজির পরিবর্তে ৯-১০ কেজি করে গ্যাস ভর্তি করা হয়েছিল। ক্রস ফিলিংয়ের কারণে প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়, সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়; উপরন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন ক্রস ফিলিং করা এই প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। ক্রস ফিলিংয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও জব্দ করা হয়।

এ সময় পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ওই ফিলিং স্টেশন থেকে বসুন্ধরাসহ একাধিক কম্পানির এলপি গ্যাসের খালি সিলিন্ডার মজুদ রেখে তাতে বিপজ্জনক প্রক্রিয়ায় গাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস ভর্তি করে বাজারজাত করা হতো। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছিল এবং সাধারণ মানুষ নিম্নমানের গ্যাস ব্যবহার করে দুর্ঘটনার ঝুঁকির মুখে পড়ছিল। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন

শেয়ার
মানববন্ধন
শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে তামাকবিরোধী সংগঠন। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগী

শেয়ার
ডেঙ্গু রোগী
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতালে। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নৌ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে নৌবাহিনী প্রধান এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কনটেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া তিনি এনসিটিতে কর্মরত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও সদস্যদের এবং বন্দরের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের এমডিসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর আরো জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এনসিটির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান ।

সঠিকভাবে বন্দর পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন নিশ্চিত করা হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া গতিশীল হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাবি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, সাদা-নীল ভাগাভাগি, এই ক্যাম্পাসে হবে না, ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের চামচারা, হুঁশিয়ার সাবধান, গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান, ঢাবি ক্লাবে হবে না, দালালদের ঠিকানা ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এর সঙ্গে সাদা দলের শিক্ষকরাও জড়িত। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঢাবি ক্লাব কমিটি বাতিল করে ক্লাব থেকে ফ্যাসিবাদী দোসরদের উত্খাতের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর না পেরোতেই ঢাবি ক্লাবে খুনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ঢাবি ক্লাবের ১৫ সদস্যের কমিটির সাতজনই নীল দলের সদস্য, যা সাদা দলের শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।

যারা খুনি হাসিনাকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করে ফ্যাসিবাদী হতে সাহায্য করেছে, তাদের সাদা দল পুনর্বাসন করে জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর পেছনে কী স্বার্থ জড়িত, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাই আমরা।

অন্য শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছিলেন নীল দলের শিক্ষকরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরও নীল দলের শিক্ষকরা ঢাবি ক্লাবে বিপ্লব বেহাত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

এখন সাদা দলের মদদে এসব ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে ঢাবি ক্লাবের কমিটিতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ