<p>ঈদকে সামনে রেখে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেলওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই অনুষ্ঠান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করাসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২-এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসব দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। মহাসড়কে কোনো প্রকার যানজট থাকবে না।</p> <p>সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আজ (গতকাল) থেকে বগুড়ার তিনমাথা রেলগেটে ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রেল ওভারপাস, সিরাজগঞ্জে ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দাতিয়া সেতু ও ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের ফটকি সেতু ছাড়াও সিরাজগঞ্জে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যের মুলিবাড়ি ওভারপাস, ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচিলা ওভারপাস ও ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দাতপুর ওভারপাস, বগুড়ায় ১৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের বি-ব্লক ক্যান্টনমেন্ট ওভারপাস ও ১৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুলতলা ওভারপাস, রংপুরে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধাপেরহাট ওভারপাস এবং আট মিটার দৈর্ঘ্যের মির্জাপুর ওভারপাস যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। ১৯ হাজার ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯০.৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কটি সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) করিডর, এশিয়ান হাইওয়ে-২,  বিমসটেক-২ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডর-৪-এর অংশ।</p>