ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

নির্মাণের চেয়ে সংস্কার ব্যয়ে দ্বিগুণ প্রস্তাব

এম আর মাসফি
এম আর মাসফি
শেয়ার
নির্মাণের চেয়ে সংস্কার ব্যয়ে দ্বিগুণ প্রস্তাব

খাদ্য বিতরণ ও মজুদ করার ব্যবস্থা উন্নত করতে জরাজীর্ণ ৪২৪টি খাদ্যগুদাম এবং আনুষঙ্গিক অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ধরা হয়। তবে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০টি খাদ্যগুদাম সংস্কারের নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পটি পুনর্গঠন করে পাঠাতে বলেছে কমিশন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্পের আওতায় খাদ্যগুদাম সংস্কার ও মেরামতকাজের জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়, তা নতুন ভবন নির্মাণের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে প্রকল্পটির প্রস্তাবের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগটির সদস্য (সচিব) এ কে এম ফজলুল হক। সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) সিলিং অনুযায়ী প্রকল্পের চাহিদার চেয়ে বাজেট ঘাটতি দুই হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।

চলমান প্রকল্পেই চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না, তার ওপর এই প্রকল্পে কিভাবে বরাদ্দ পাবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি গুদাম সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গত পাঁচ বছরে যেসব খাদ্যগুদাম সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থাপনা আবার সংস্কারের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান মো. ছায়েদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, যে খাদ্যগুদামগুলো বেশি জরাজীর্ণ সেগুলো প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দ্রুত বাস্তবায়নেই প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো হয়েছে। এমটিবিএফের সিলিং থেকে চলমান প্রকল্পগুলোতেই তারা চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে পারছে না।

পিইসি সভা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনে সারা দেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম ও অন্য স্থাপনার পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের পিইসি সভা হয়। সভায় ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা মেরামত ও সংস্কার অংশ বাদ দিয়ে শুধু ১৬টি জরাজীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম এবং সংশ্লিষ্ট অন্য স্থাপনা পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় পিইসির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিভিন্ন ধারণক্ষমতার খাদ্যগুদাম ও অন্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬টি জরাজীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনা পুনর্নির্মাণের পরিবর্তে বর্তমানে একই শিরোনামে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কারকাজ করা প্রয়োজন। অর্থ বিভাগের উপসচিব নূরউদ্দিন আল ফারুক বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে সাধারণত নতুন ভবন নির্মাণে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ২৫ হাজার টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের আওতায় সংস্কার ও মেরামতকাজের জন্য প্রতি বর্গমিটারে ৪৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অত্যধিক।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ