শিশুর নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি ও হাঁচি দেওয়া খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। শীতকালে এই সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে।
এসব সমস্যায় কিছু ঘরোয়া টোটকা বা ‘হোম রেমেডিজ’-এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এসব প্রয়োগ করলে শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবে।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন—
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইএনটি হসপিটাল লিমিটেড।
শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়লে কোনো ওষুধ না খাইয়ে শুধু ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে শিশুকে সুস্থ করে তোলা যায়। যেমন—
বারবার পানি পান করান
শিশুকে নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করান। সে পানি পান না করতে চাইলে তাকে ফলের রস বা হেলথ ড্রিংকস খাওয়ান।
চিকেন বা ভেজিটেবল স্যুপ রান্না করে খাওয়াতে পারেন। এই ঘরোয়া টোটকা বেশ কাজে দেয়।
স্টিম বা ভাপ নিতে বলুন
একটা পাত্রে পানি গরম করে এরপর শিশুর মাথার ওপর দিয়ে একটা কাপড় বা তোয়ালে জড়িয়ে তাকে নাক-মুখ দিয়ে গরম বাষ্প টানতে বলুন। এভাবে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিট করলেই উপকার মিলবে; খুলে যাবে বন্ধ সাইনাস।
এমনকি নাকে জমে থাকা কফও দ্রুত বেরিয়ে আসবে। তবে সহনীয় গরম পানিতে শিশুকে স্টিম নিতে বলবেন।
গরম পানিতে গোসল করান
শিশুর বন্ধ নাক খুলে দিতে চাইলে তাকে নিয়মিত সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে গোসল করান। এতে উপকার মিলবে। এমনকি জ্বর, সর্দি, কাশির প্রকোপ কমতেও সময় লাগবে না।
নাকের পাশে সেঁক দিন
বন্ধ নাক খুলে দিতে চাইলে শিশুর নাকের পাশে গরম সেঁক দিন। এতে নাক দিয়ে আর পানি গড়াবে না। তবে শিশুর কফের রং হলুদ বা সবুজ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এসব লক্ষণ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের দিকে ইঙ্গিত করে।
ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ দিন
শিশুর ঘুমানোর সময় বিছানায় মাথার দিক কিছুটা উঁচু করে রাখা ভালো। প্রয়োজনে মাথার নিচে দুটি বালিশ রাখুন। হৃৎপিণ্ডের সমান্তরাল মাথা থাকলে নাক বেশি বন্ধ হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি হয়। তখন শিশুরা মুখ হাঁ করে ঘুমায়।