ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ। ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে দ্রুত রাজনৈতিক রক্তাক্ত উত্থান-পতনের ঘটনাবলির মধ্যে এদিন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত করেন। বিএনপির মতে, পঁচাত্তর সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সিপাহি-জনতা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিল।
বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করলেও জাসদ ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
বিএনপি মনে করে, সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ক্রান্তিকালে শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেছেন। দিনটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে বাণী দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি স্মরণ করে বিএনপি। তবে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার কোনো দলেরই কোনো কর্মসূচি থাকছে না।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। এ বাস্তবতায় এবার এই দিবসে দলটির কোনো কর্মসূচি থাকছে না বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, দুঃশাসনের ছোবলে স্থগিত থাকছে এবারের কর্মসূচি।
জাসদের মতে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখল-পুনর্দখলের জন্য পরস্পরবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে ইতিহাসের এই দিনে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ঘটেছিল।
কয়েকটি সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে থাকে। তাদের মতে, সিপাহি বিপ্লবের নামে এদিন থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যাপ্রক্রিয়া। শেষ হয় ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।