গাজীপুরের সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানপ্রধানই আয়-ব্যয় কর্মকর্তা হওয়ার কথা। সরকারি হিসেবে তাঁর অস্থায়ীভাবে (অ্যাডহক) নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ায় অন্যজনকে আয়-ব্যয় কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই অবসরে যান কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী মিজানুর রহমান।
একই দিন মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইসমাইল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অন্য চিঠিতে বলা হয়, ইসমাইল হোসেনের অ্যাডহক নিয়োগ হয়নি। তাই কলেজের সরকারি অংশের আয়-ব্যয় পরিচালনার জন্য অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. সহিদ হাসানকে (নন-ক্যাডার) আয়-ব্যয় কর্মকর্তা ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা দেওয়া হলো।
কলেজের একাধিক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজের এমপিওভুক্ত ৩৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে সরকারি হিসেবে অস্থায়ীভাবে (অ্যাডহক) নিয়োগ দেয়।
তাঁদের মধ্যে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইসমাইল হোসেনের যোগদান এখনো সম্পন্ন হয়নি। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কারণে সাবেক অধ্যক্ষ ইসমাইলকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করে গেছেন।
এ ছাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানপ্রধানই হবেন আয়-ব্যয় কর্মকর্তা এবং তিনি এসংক্রান্ত বিষয়ে দায়বদ্ধ থাকবেন। বিধিবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ায় কলেজের আয়-ব্যয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং দায়বদ্ধতার জন্য একই কলেজে দুজনকে দায়িত্ব দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে তারিকুল ইসলাম বলেন, নিয়ম ও বিধি মেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, নিয়োগে অনিয়ম থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক অধ্যক্ষ বলেন, পাঁচজন সিনিয়র শিক্ষকের সব তথ্য দিয়ে অধিদপ্তরে পাঠানো হলে অধিদপ্তর ইসমাইল হোসাইনকে নিয়োগ দেয়। তবে মাউশিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নামের তালিকা পাঠানোর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো সভা হয়নি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন জানান, এমপিওভুক্তির সময় সবচেয়ে সিনিয়র তিনি।
তিনি আরো জানান, তাঁর অ্যাডহক নিয়োগ না হওয়ায় কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি শুধু আয়-ব্যয় কর্মকর্তা দেখবেন। বাকি সব বিষয়ই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি পরিচালনা করবেন।