জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে র্যাব। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এ অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে এই তালিকায় কারাগারে এবং বাইরে থাকা সন্ত্রাসীদের নাম থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছে বলে আলোচনা আছে। এ নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের সাতজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেটা এখনো চলমান রয়েছে। তাই এ বিষয় নতুন না।
তিনি বলেন, ‘ভিসানীতি সুনির্দিষ্ট একটি দেশের বিষয়। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের বিবেচনায় কাজ করছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। তাই ভিসানীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।
আমরা আমাদের কাজটাই করে যাচ্ছি।’
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরক ও প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে এরই মধ্যে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।’
শুধু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারই নয়, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার মতো নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের মূল থেকে উপড়ে ফেলার কাজ করেছে র্যাব জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছি।