সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন। যদিও আগে থেকে অস্ত্রসহ মহড়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে ওই প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা পরে অভিযোগের কাগজপত্র সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
লিখিত অভিযোগে সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ জানান, গত ৬ জুন আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আফতাব হোসেন খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁর বাসার গেটের সামনে দাঁড়ায়।
তাঁকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে গালাগাল করে। প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে তাঁকে ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণে হত্যা করবে। ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে।
লিখিত অভিযোগে সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ আরো জানিয়েছেন, আফতাব ও তাঁর অনুসারীরা ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় বলে বেড়াচ্ছে, নির্বাচনের দিন তারা সব কেন্দ্র দখল করে রাখবে এবং কাউকে ভোট দিতে দেবে না। কেউ যদি ভোট দিতে যায়, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ রিটার্নিং অফিসারের কাছে আরো অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের প্রতিটি অলিগলিতে বন্দুক বের করে মোটরসাইকেলে মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া তাঁর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং মাইকিংয়ে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি তাঁর বিভিন্ন কর্মীর বাসাবাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আফতাব হোসেন খান ও তাঁর অনুসারীদের মোটরসাইকেল নিয়ে সায়ীদ মো. আবদুল্লাহর বাসার সামনে অস্ত্রসহ একটি মহড়ার দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে মোটরসাইকেলে বসা তিন যুবকের মধ্যে মাঝখানে থাকা এক যুবকের হাতে বন্দুক দেখা গেছে। ফুটেছে মোটরসাইকেল মহড়া করতেও দেখা গেছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ জানান, বন্দুকধারী যুবকের নাম মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে তুহিন। তিনি আফতাবের অনুসারী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। ২০২১ সালের ১২ মার্চ ওই যুবক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) সদস্যদের হাতে পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে সম্প্রতি ওই যুবক জামিনে বের হয়েছেন।
এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।