ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

মেয়াদ শেষের দিকে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব

নিখিল ভদ্র
নিখিল ভদ্র
শেয়ার
মেয়াদ শেষের দিকে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। এই প্রকল্পের আওতায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ৯ তলাবিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কথা। কিন্তু এখনো সে বিষয়ে দরপত্রই আহবান করা সম্ভব হয়নি। মেয়াদ শেষে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি মাত্র ২২ শতাংশ।

এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ কোটি টাকার ওই ভবনের বরাদ্দ ৪২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৮২ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত ২২০ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার প্রকল্পটির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২৩ সালের জুন মাস।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে ৯ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদরে অধিদপ্তরের নতুন ভবন বানানো হবে। দেশের ৬৪ জেলায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ভবন সম্প্রসারণ ও নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি জেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জন্য কোল্ড রুম ও কেন্দ্রীয় স্টোর ভবন করা হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার, দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোর ডিজিটাল সার্ভেকরণ, অধিদপ্তরের বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ এবং প্রাণিসম্পদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধায়নের লক্ষ্যে ৬৩টি নতুন যানবাহন কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষক নির্বাচন এবং টিওটি প্রশিক্ষণ ও বিশেষায়িত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও রয়েছে। কিন্তু কোনো কাজই নির্ধারিত সময়ে করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছরেও অজ্ঞাত কারণে প্রকল্পের অন্যতম প্রধান কাজ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ৯ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। দ্রুতই ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানানো হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর মধ্যে ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৪০ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ ভবন নির্মাণ খরচ ৪১ কোটি ৮২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বাড়ছে।

ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে কৌশলী হয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। যেখানে একটি ভবনেই ব্যয় বাড়ছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা, সেখানে প্রকল্প ব্যয় মোট বাড়বে ৩২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কারণ প্রকল্প ব্যয় ১৫ শতাংশের বেশি হলে পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন দরকার হয়। তাই প্রকল্পব্যয় ১৪.৯০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় ২৫৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্টোর নির্মাণের টাকা, জেলার প্রাণিসম্পদ ভবনগুলোর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সম্প্রসারণ না করে সেই টাকা ও কয়েকটি জেলায় নতুন ভবন নির্মাণের টাকা মূল ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. আবদুস শহীদ কালের কণ্ঠকে জানান, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র উঠে এসেছে। প্রকল্প প্রণয়নে ত্রুটি ও তদারকির অভাবে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে একদিকে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকল্পব্যয় বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে মনিটারিং জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রকল্পের শুরুতে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদার। পিডি থেকে পরিচালক (প্রশাসন) ও পরে মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পান তিনি। গত ৩১ অক্টোবর প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পান ডা. আনিসুর রহমান।

আনিসুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ২২ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। করোনাসহ নানা কারণে প্রকল্প কাজের অগ্রগতি কম হয়েছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ছিল মাত্র চার থেকে পাঁচ শতাংশ। জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পাশাপাশি অসংগতি দূর করতে ডিপিপি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না হলেও আসবাব কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তিন কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৭২২ টাকা মূল্যের আসবাব কেনার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। একই প্রকল্পের অধীনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২৩টি টেন্ডার আহবান করা হয়। এরই মধ্যে টেন্ডারের কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় চার কোটি টাকা ময়মনসিংহে ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ভিটিআই) সীমানা দেয়াল ও গেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই দরপত্রে মাটি ভরাটের কথা উল্লেখ না থাকলেও বরাদ্দকৃত টাকার বেশির ভাগই মাটি ভরাটের কাজে ব্যয় করার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুভ কাজে সবার পাশে

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    টাঙ্গাইলে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনার
শেয়ার
যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে গতকাল ‘এসো যুক্তিতে আলোকিত হই’ শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

 যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

ঢাকা : যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাকলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল পরিবেশদূষণে জনগণের অসচেতনতাই দায়ী

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান শোভনের সভাপতিত্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সাবেক সিনিয়র রোভারমেট ও  বাঁধনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহমেদ কাজল, আবৃত্তি সংসদ ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন ও বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. রাজীব খান। বিতর্কে সরকারি দলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন গগন ঘোষ, মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এমদাদুল হক এবং সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন। অন্যদিকে বিরোধী দলে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন আশিকুর রহমান আশিক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আবু নাঈম এবং বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল। সরকারি দল বলে, জনগণ সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব।
তাঁরা যুক্তি দেন, সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

অন্যদিকে বিরোধী দল বলে, সরকারের কঠোরতাই পারে পরিবেশদূষণ রোধ করতে। বিভিন্ন আইন-কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের  সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটাঙ্গাইল : বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শহরের বাগানবাড়ি পানির ট্যাংকি বাজারে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগানবাড়ি সমাজপতি আতোয়ার রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেবুব ইসলাম রুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন ও প্রচার সম্পাদক সুজন মিয়া।

এতে ২৫ জন মাদকসেবী অংশ নেন। সেমিনারে বলা হয়, আসক্ত ব্যক্তিকে মাদক পরিহারের জন্য বাস্তবসম্মত কৌশল শেখানো হয়, যাতে সে মাদকের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেও তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে থাকা দেশের আরো ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এসংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। এতে সই করেছেন উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী। আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

 

মন্তব্য

বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি পদে ডা. শেখ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ১৫ বছরের পুরনো সংগঠনের এটিই প্রথম নির্বাচন।

 

ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড এ নির্বাচন পরিচালনা করে।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গত সাত মেয়াদে সমঝোতার ভিত্তিতে সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এবার নির্বাচন হওয়ায় প্রায় দেড় দশক পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় বিপিএমসিএর সাধারণ ভোটাররা।

সারা দেশে বিপিএমসিএর সদস্যসংখ্যা ১১০ জন। এর  মধ্যে ৯২ সদস্য ভোট প্রদান করেন। ২১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির এ নির্বাচনে মহিউদ্দিন-মুকিত প্যানেল ও আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

বিপিএমসিএর নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক।

তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আফরোজা খানম রিতা। তিনি মুন্নু মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত। তিনি সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।

মন্তব্য

ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অব্যাহত অবনতি এবং কক্সবাজারে বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

বিশেষ করে কক্সবাজারে বিএনপির ভারুয়াখালী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব কালচার উসকে দিচ্ছে। তারা ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সংস্কারের নামে কিছু এনজিওকর্মী এখন গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররাজনীতির ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

একের পর এক সহিংসতা ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।

সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, একটি গুপ্ত সংগঠন দেশে চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা এ অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কক্সবাজারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি।

এ ছাড়া বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ও গাড়িবহরে দফায় দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ