নরসিংদীর বেলাবতে পুলকিত আশ্রমে বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর এবং বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন উন্মুক্ত লাইব্রেরি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে। তারা নরসিংদীর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।
তারা বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘নরসিংদীর ঘটনাটি নতুন কিছু নয়, এ ধরনের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটছে। দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এর আগে লালনচর্চায় ও ভাস্কর্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এক শ্রেণির মানুষ বাঙালি সংস্কৃতিকে ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়। তারাই বারবার আমাদের সংস্কৃতির ওপর হামলা করছে।’
তিনি আরো বলেন, যারা দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, বাঙালির লোকসংস্কৃতি চর্চা করছে, তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাদের প্রয়োজনে রাষ্ট্রকে পাশে দাঁড়াতে হবে।
ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদুল কবির বলেন, ‘যারা পুলকিত আশ্রমের সাধুসঙ্গে হামলা চালিয়েছে, তারা মূলত দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর হামলা চালিয়েছে। শিল্পের প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আজ এই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। বারবার শিল্পের ওপর আঘাতকে এড়িয়ে যেতে পারি না। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
একই সঙ্গে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি রক্ষায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।’
উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তব্য দেন কবি জসীমউদদীন হল ছাত্রসংসদের জিএস মো. ইমাম হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যসংসদের সভাপতি মো. লিপটন ইসলাম, স্লোগান ’৭১-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিথি।