কিডনি সমস্যার খুব প্রাথমিক একটি লক্ষণ হলো প্রস্রাবে প্রোটিন মানে অ্যালবুমিন যাওয়া। প্রস্রাবে কী পরিমাণ অ্যালবুমিন যাচ্ছে, তা দেখে আগাম কিডনি রোগ শনাক্ত করা যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম
মেডিক্যাল কলেজ
অ্যালবুমিন হলো রক্তে থাকা দেহের প্রোটিন। দেহের গঠন, রোগবালাই প্রতিরোধ ও রোগবালাই থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তবে এই প্রোটিন থাকবে রক্তে, প্রস্রাবে নয়।
প্রস্রাবে অ্যালবুমিন গেলে যে জটিলতা দেখা দেয়—
কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ হলো রক্ত ফিল্টার করা। কিডনি সুস্থ থাকলে এই ফিল্টার বা ছাঁকনি দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ যেমন—প্রোটিন শরীরকে ফিরিয়ে দেয় এবং বর্জ্য বের করে দেয়।
কিডনির ক্ষতি হলে অ্যালবুমিন চুয়ে পড়ে মূত্রে।
আর এতে বোঝা যায়, কিডনির ফিল্টারের ক্ষতি শুরু হয়েছে। এটি কিডনি রোগের আগাম লক্ষণ হতে পারে।
* পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিস থাকলে
* যাদের পরিবারে কিডনি ফেইলিওরের ইতিহাস আছে
* বয়স ৬৫-এর ওপরে গেলে প্রস্রাবের রুটিন চেকআপ জরুরি
রোগ নির্ণয়
ইউরিন অ্যালবুমিন সহজ পরীক্ষা। প্রস্রাবের অল্প নমুনা নিয়ে একে পরীক্ষা করা হয়।
অনেক সময় বাসায় নিজে নলে প্রস্রাব নিয়ে ডিপ স্টিক স্ট্রিপ প্রস্রাবে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা যায়। রঙের বদল নির্দেশ করে অ্যালবুমিনের উপস্থিতি ও আনুমানিক পরিমাণ।
চিকিৎসা
যদি দেখা যায়, কিডনি রোগ হয়েছে তাহলে চিকিৎসা লাগবে। রোগ অনেক অগ্রসর না হলে অনেক রোগী বুঝতে পারেন না কিডনি রোগ হয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো চিনে রাখতে হবে।
শরীর ফোলা, শ্বাসকষ্ট, বারবার প্রস্রাব, হিক্কা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব, ত্বক চুলকানো।
এসব লক্ষণ থাকলে নেফ্রলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি ডায়েট তালিকা দেবেন। প্রয়োজনে ওষুধ খেতে বলবেন। এ ছাড়া জীবনযাত্রায় আনতে হবে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন। ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ও ধূমপান ছাড়তে হবে।