হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান শব্দসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খান। সর্বশেষ কর্মস্থল দৈনিক বাংলা কার্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও গুলশানের আজাদ মসজিদে তিন দফা জানাজা শেষে গতকাল সোমবার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় বরেণ্য এই সাংবাদিককে। এর আগে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সহকর্মী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হয়েছিলেন শহীদ মিনারে।
গতকাল সকালে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সবাই ছুটে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিককে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে।
তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তোয়াব খান। জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরদেহবাহী কফিনে শায়িত এই সাংবাদিককে ঢাকা ডিসি শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সেখানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তাঁর কার্যালয়ের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধান জানান তাঁর সহকারী সামরিক সচিব জি এম রাজিব আহমেদ। আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন তোয়াব খানের পরিবারের সদস্য ও তাঁর সহযোদ্ধারা।
এ সময় পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবেদ খান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে তোয়াব খান যে পথ তৈরি করে গেছেন তা পরবর্তী প্রজন্মের পথ। পরবর্তী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলে না যায় সে জন্য তোয়াব খানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে।’
শহীদ মিনারে তোয়াব খানের প্রতি আরো শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।
প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।