পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবিতে ছয় দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি নিখোঁজ তিন যাত্রীকে। তাঁরা হলেন সুরেন্দ্রনাথ, ভুপেন্দ্রনাথ ও জয়া রানী। তাঁদের স্বজনরা প্রতিদিনই অপেক্ষা করছে করতোয়াতীরে।
দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা নিখোঁজ তিনজনের খোঁজ পাচ্ছি, ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে।
প্রতিদিন এখন সারিবদ্ধভাবে নদীর একেকটি স্থানে চিরুনি তল্লাশি করা হচ্ছে।’
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে ওই ঘাটের ইজারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় মাড়েয়া বটতলী এলাকার একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দরিদ্র দিনমজুর জগদীশ চন্দ্র রায়কে হারিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়ে পরিবারটি। জগদীশের বাড়ির ঠিক বিপরীত দিকের সেন্টু বর্মণ নামের আরেকজনকে হারিয়ে স্বজনরা বিপাকে পড়ে।
এই দুই পরিবারের সদস্যদের পূজায় কেনা হয়নি নতুন কাপড়। অজানা ভবিষ্যতের আশঙ্কায় যখন দুশ্চিন্তার বেড়াজালে আবদ্ধ পরিবারগুলো সেই সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পঞ্চগড় কমিটির সদস্যরা। বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় গতকাল বিকেলে তাঁরা জগদীশ ও সেন্টুর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্ত্রী-সন্তান ও মায়ের জন্য নতুন জামা, ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন। ছোট শিশুর জন্য গুঁড়া দুধ, নুডলস ও চকোলেট দেওয়া হয়।
তা ছাড়া আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য পরিবার দুটিকে এক জোড়া করে ছাগল দেওয়া হয়।
এসব সামগ্রী বিতরণের সময় শুভসংঘ পঞ্চগড়ের উপদেষ্টা ও পঞ্চগড় পৌরসভার কাউন্সিলর আরিফ হোসেন, শুভসংঘ পঞ্চগড়ের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব, সহসভাপতি নাসিম আহম্মেদ নয়ন, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহম্মেদ মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।