হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) যেন প্রত্যাশার বাইরে চলে গেছে অনেক প্রসূতির কাছে। কেননা হাসপাতালে গেলেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন বেশিরভাগ চিকিৎসক। আবার কোথাও কোথাও ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। এ রকমই ব্যতিক্রম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
স্বাভাবিক প্রসবে এক দিনে ১২ নবজাতকের জন্ম
- খানসামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
দিনাজপুর প্রতিনিধি

গতকাল একদিনেই স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে ১২ শিশু জন্ম নিয়েছে এই হাসপাতালে। এর মধ্যে সাতটি মেয়ে ও পাঁচটি ছেলে শিশু।
জেলায় ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দিনে ১২টি শিশুর স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দিনে সর্বোচ্চ ৯টি শিশুর জন্ম স্বাভাবিকভাবে হয়।
সিজারের নামে বাণিজ্য, দালালচক্র ও অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষা এবং নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করাতে বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসকের একটি টিম কাজ শুরু করে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। এ বিষয়ে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণে তাঁরা বিভিন্নভাবে প্রচার চালান। ফলে ২০১৮ সালে দেশসেরা হাসপাতালের পুরস্কার পায় এই হাসপাতাল।
এরপর জেলার সব হাসপাতালে শুরু হয় এই কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এখানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৯৫টি স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩৮০টি। এ ছাড়া প্রসব-পূর্ববর্তী এএনসি সেবা নিয়েছেন চার হাজার ৩১১ জন এবং প্রসব-পরবর্তী পিএনসি সেবা নিয়েছেন ১৫১১ জন। ফলে তিন বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবায় বিভাগের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও জেলায় প্রথম হয়ে হাসপাতালটি রংপুর বিভাগে রোল মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
হাসপাতালে সেবা নেওয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নুরনাহার ও নেউলা গ্রামের শেফালী খাতুুনর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে ভয় লাগলেও মাঠকর্মী ও চিকিৎসকদের দেওয়া সাহসে হাসপাতালে এসে নিরাপদে স্বাভাবিক প্রসবে তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাঁরা অনেক খুশি।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ‘মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে এবং নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে এই হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফরা আছেন; যার ফলে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে এবং দিন দিন নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহও বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদে ডেলিভারি করানো হলে মৃতু্যুর ঝুঁকি থাকে না; পাশাপাশি কোনো অর্থও ব্যয় হয় না।’ সবার সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।
সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।