ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

৭৮ পরিবার আকাশের নিচে পাঁচ দিন

নীলফামারী ও রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নীলফামারী ও রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
শেয়ার
৭৮ পরিবার আকাশের নিচে পাঁচ দিন
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার হারইল গ্রামে ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে গেছে। গতকাল উন্মুক্ত স্থানে রান্না করছেন গৃহবধূ। ছবি : কালের কণ্ঠ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ওপর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে গ্রামগুলোর ১৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৭৮টি পরিবারের সদস্যরা এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের কামতা, হারইল হিন্দুপাড়া ও বিশা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ওই ঘূর্ণিঝড়।

হারাইল গ্রামের ভারত চন্দ্রের স্ত্রী আতশি রানী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে গাছ ভেঙে আমার ঘরের ওপর পড়ে। অল্পের জন্য আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। আমার পুরো ঘরবাড়ি এখন লণ্ডভণ্ড। আমরা গরিব মানুষ।

ঘরবাড়ি এখনো মেরামত করতে পারিনি। তাই খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে।’ একই গ্রামের রাখাল চন্দ্রের ছেলে নিমাই চন্দ্র বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। ঘর মেরামত করার মতো সামর্থ্য আমাদের নাই।
সরকারি সহযোগিতা পাইলে আগের অবস্থায় ফিরতে পারতাম।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছি। পুরো তালিকা হাতে পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে ঝড়ে নীলফামারী জেলা সদরে এক বাড়ির ওপর একটি সরকারি গাছ ভেঙে পড়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটির মুক্তি মেলেনি আট দিনেও। গাছটি অপসারণ না হওয়ায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি।

গত ১৭ মে উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ কিষামত গোড়গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়ির ওপর ঝড়ে ওই আমগাছটি ভেঙে পড়ে। সরকারি গাছ হওয়ায় পরিবারটি বা এলাকাবাসী তা অপসারণ করতে পারছে না। ফলে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে গাছচাপায় ভেঙে পড়া ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে বাস করতে হচ্ছে শিশুসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে।

এ নিয়ে গত সোমবার কালের কণ্ঠের অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত গাছটি অপসারণ করা হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, ঝড়ে গাছটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌখিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় গত ২২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এর পরও গাছটি সরানো হয়নি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে গাছটি অপসারণ করতে বলেছি। তিনি এখনো সেটি না করার কারণ জানি না। গাছটি অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ