চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘মাসুদ রানার’ স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে সেগুনবাগিচা জামে মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বুধবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা যান তিনি।
তাঁর মরদেহ ফ্রিজিং ভ্যানে করে কাকরাইলের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে গতকাল সকাল ১০টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয় সেগুনবাগিচায় তাঁর নিজ বাসভবনে।
কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা একজন যোদ্ধা মানুষ ছিলেন। সব সময় সাহস নিয়ে বেঁচেছেন।
এই মানুষটি পরিবারকে নিয়ে থাকতে পছন্দ করতেন।’
শেষবারের মতো এই গুণী লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসী, পাঠক-ভক্তরা সেখানে ভিড় করে। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তাঁর শ্যালিকা ও শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেবা প্রকাশনীর লেখক নিয়াজ মোরশেদ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের আগেই তিনি এ দেশে বই পড়ার পথ তৈরি করেছিলেন। এমনকি জেলায় জেলায় নিজের গাড়িতে চড়ে মাইকিং করে বই বিক্রি করেছিলেন।