ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
মগবাজারে বিস্ফোরণ

১০ দিনেও জানা যায়নি গ্যাসের উৎস

  • মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
১০ দিনেও জানা যায়নি গ্যাসের উৎস

রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় রাখি নীড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ জমাটবদ্ধ গ্যাসের উৎস এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে একটি গ্যাসের লাইনে লিকেজ (ছিদ্র) পাওয়া গেলেও সেটি পরিত্যক্ত বলে দাবি করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। পাশে গ্যাসের লাইন থাকলেও সেখান থেকে গ্যাস চেম্বার তৈরি হওয়ার সংযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

এতে গ্যাস চেম্বার তৈরি হওয়ার উৎস নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। এক সপ্তাহের তদন্তকাজ ১০ দিনেও শেষ হয়নি। তদন্তকারীরা বলছেন, গ্যাস চেম্বারে জমার সূত্র পেয়েছেন তাঁরা। পরীক্ষা ও যাচাইয়ে উৎস নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুভাষ চন্দ্র সাহাকে (৬২) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১২। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার জানান, সুভাষ মগবাজারের ঘটনার সময় বাসের যাত্রী ছিলেন।

তিনি বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপ ও কাচের আঘাতে গুরুতর আহত হন। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ছেলের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা বৃদ্ধ সুভাষ সাহার বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়।
তিনি ঢাকার ইসলামপুরে থাকতেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলা বর্তমানে তদন্ত করছে সিটিটিসি। এ ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি। সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি নির্মাণের নকশা থেকে ১৪ ফুট সামনে বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের পাইপলাইনের যে উৎস পাওয়া গেছে, তা ওই ভবনের নিচে শনাক্ত হয়েছে। পাশেও গ্যাসের লাইন আছে। তবে তিতাস বলছে, ভবনে গ্যাসের কোনো চালু লাইন নেই। এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটিগুলো কাজ করছে।

গত সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস কম্পানি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গতকালও সেখানে গেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিটিটিসির তদন্তকারীরা। গ্যাসের আলামত পাওয়া গেলেও জমাটবদ্ধ হওয়ার কারণগুলো যাচাই করা হচ্ছে এখন। গ্যাস চেম্বারের দূরত্ব ও লাইন থেকে সঞ্চালনের সূত্র খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তিতাস গ্যাস কম্পানির তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যা দেখলাম আমরা অবজারভেশনে রেখেছি। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় ওয়্যারলেস গেট এলাকায় আকস্মিক বিস্ফোরণে ৭৯ নম্বর রাখি নীড়ের নিচতলার শর্মা হাউসসহ পুরো অংশ সামনের রাস্তায় ধসে পড়ে। আশপাশে কম্পন তৈরি হয়ে ১৮টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও তিতাস আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ এনে পুলিশ রমনা থানায় মামলা করেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ