ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

‘কভিড উপসর্গে’র রোগী বাড়ছে

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, মাগুরা
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
‘কভিড উপসর্গে’র রোগী বাড়ছে

দেশের কয়েক জেলায় জ্বরসহ সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে। অনেকেই জ্বরে ভুগছে সাত থেকে ১০ দিন পর্যন্ত। একে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা মৌসুমি অসুখ ভেবে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ। করোনার পরীক্ষা করানোয় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গতকাল সোমবার থেকে মাগুরা জেলা শহরকে কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের আওতায় এনেছে জেলা প্রশাসন। প্রথম দিনই ভ্রাম্যমাণ মাস্ক না পরাসহ লকডাউনের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কয়েকজনকে আর্থিক দণ্ড দিয়েছেন। গত রবিবার জেলায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

তবে খুব জটিল পর্যায়ে না গেলে মানুষ করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে না।

মাগুরা সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, স্থাস্থ্য বিভাগ, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনেকে জ্বর, সর্দি, কাশিকে এখনো মৌসুমি অসুখ হিসেবে চিহ্নিত করছে।

গতকাল মাগুরা সদর উপজেলার বুজরুকশ্রীকুণ্ডী ও পুখুরিয়া গ্রামে গিয়ে অন্তত ১০টি বাড়িতে জ্বরের রোগী পাওয়া গেছে। তারা প্রত্যেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

কেউ করোনা পরীক্ষা করায়নি।

বুজরুকশ্রীকুণ্ডী গ্রামে অবস্থিত চাউলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ শহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রায়ই জ্বরাক্রান্ত রোগী আসছে। তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরামর্শ দিচ্ছি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে করোনার নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। এলাকায় এখনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

তবে করোনা সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি।’

জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে জেলায় কোনো ধরনের সংকট নেই। আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে লকডাউনের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি বিধি-নিষেধ আরো কঠোর করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অধিক নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ করোনা টিম চালু হলেও এতে সাড়া কম। যদিও জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভোগা রোগীর সংখ্যার বাড়ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর দেশের করোনায় আক্রান্ত জেলাগুলোর শীর্ষে ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শনাক্তের হার ৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। দু্ই দফা কঠোর লকডাউনে সংক্রমণের হার কমেছে। আমের মৌসুমের জন্য তৃতীয় ধাপে চলাচলে ১০টি শর্তারোপ করে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চারদিক থেকে অনেক মানুষের জ্বরসহ সর্দি-কাশিতে ভোগার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েরা খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ চারটি টিমে ২৪০ জনের উপসর্গ নেওয়া হয়েছে। এতে পজিটিভ এসেছে ২৫ জনের।

তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল বলেন, বর্তমানে জেলায় সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। তিনি এও বলেন, গ্রামের দরিদ্র মানুষের এক ধরনের ভীতি রয়েছে যে ফল পজিটিভ এলে ১৪ দিনের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে।

বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা উপজেলায়ও জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী হঠাৎ বেড়ে গেছে। তাদের মধ্যে এসব উপসর্গ নিয়ে অনেকের ভীতি থাকলেও করোনাভাইরাস পরীক্ষায় আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, গতকাল উপজেলায় ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪৫১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে, যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ইদানীং বিপুলসংখ্যক মানুষ আসছে বলে জানিয়েছেন বাগআঁচড়ার ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, সর্দি, জ্বর বা গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা সন্দেহজনক রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং যশোর সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা)

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক

শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।  গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।

আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিসেফ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং প্রশিক্ষিত সমাজকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের এই কঠিন সময়ে মানসিক সহায়তা দেওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয়, গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষা করে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়, যেন তাদের ওপর কোনো বাড়তি মানসিক চাপ না পড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্প্রদায়ের প্রতি আরো সহানুভূতিশীল আচরণ নিশ্চিত হয়।

মন্তব্য

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

তবে নিজে বিয়ে করেননি। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগমের সংসার বলতে ছিল শিক্ষার্থীরাই।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

গত সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। সোহাগপুরে মাসুকার বড় বোন পাপিয়ার স্বামীর বাড়ি। মৃত্যুর আগে মাসুকা জানিয়েছিলেন, লাশটা যেন তাঁর বোনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বোনের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ দাফনের কথাও তিনি বলে যান। মাসুকাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকূট গ্রামে। তবে বেড়ে উঠেছেন পৌর এলাকার মেড্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করা মাসুকা চাকরির সুবাদে চলে যান ঢাকা। প্রথমে মিরপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
এরপর যোগ দেন মাইলস্টোন স্কুলে।

মন্তব্য

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।

সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সেনা সদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনা সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

৭টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। মিরপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. আফজাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে চার হাজার ৫০০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ