ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

পথের কাঁটা সরাতেই সুমনকে হত্যা করেন স্ত্রী ও প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
পথের কাঁটা সরাতেই সুমনকে হত্যা করেন স্ত্রী ও প্রেমিক

গাজীপুরের কাশিমপুরে পরিত্যক্ত কুয়া থেকে গত ২১ এপ্রিল উদ্ধার হাত, পা ও মাথাবিহীন লাশটি সুমন মোল্লার। পথের কাঁটা সরাতেই স্ত্রী আরিফা বেগম ও তাঁর প্রেমিক তনয় সরকার মিলে সুমনকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে কিছু সারদাগঞ্জের হাজি মার্কেটের পাশে কুয়ার ভেতর এবং বাকি অংশ দুই কিলোমিটার দূরে তেঁতুইবাড়ি এলাকার ময়লার স্তূপে ফেলে দেন। গত শনিবার আরিফা ও তনয়কে গ্রেপ্তারের পর হত্যারহস্য উদঘাটন করে কাশিমপুর থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. জাকির হাসান।

হত্যাকাণ্ডের শিকার সুমন মোল্লা (২৮) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার গোলা বরননী গ্রামের মো. জাফর মোল্লার ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কাশিমপুরের সারদাগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আরিফা (২৪) দিনাজপুরের চিরিবন্দর থানার নারায়ণপুর গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে এবং তাঁর প্রেমিক তনয় সরকার (৩১) ফরিদপুরের মধুখালী থানার নরকোনা গ্রামের আদিত্য সরকারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আরিফা ও তনয় কাশিমপুরের স্কয়ার টেক্সটাইলে চাকরি করেন।

দেড় বছর আগে আরিফাকে বিয়ে করেন সুমন। এটি ছিল আরিফার দ্বিতীয় বিয়ে। আগের সংসারে আরিফার এক মেয়ে রয়েছে। তবে বিয়ের আগেই আরিফার সঙ্গে তনয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তনয়ও বিবাহিত। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সারদাগঞ্জে ভাড়া থাকতেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, সুমন হত্যায় আরিফা ও তনয়ের প্রতিটি ধাপ ছিল পেশাদার খুনিদের চেয়েও নিখুঁত। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল রাতে খাবারের সঙ্গে ১০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামী সুমনকে খেতে দেন স্ত্রী আরিফা।

সুমন অচেতন হয়ে পড়লে ঘরে ঢোকেন তনয়। এরপর দুজন মিলে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে দেন। পরদিন হাত করাত দিয়ে মাথা ও হাত-পা কেটে আলাদা করে দেহের মূল অংশ কুয়ায় ফেলে দেন। আর মাথা ও হাত-পা ব্যাগে ভরে দুই কিলোমিটার দূরে ময়লার স্তূপে ফেলে দেন।

২১ এপ্রিল মাথা ও হাত-পাবিহীন লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত এবং দেহের বাকি অংশ উদ্ধারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। শ্রমিক অধ্যুষিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ‘কারা বাসা বদল করছে’ সেদিকে নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে আরিফা বাসা বদল করে বোনের বাসায় উঠেছেন। আগের বাসা ছাড়ার আগে প্রতিবেশীদের বলে গেছেন তাঁর স্বামী অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। একই কথা তিনি শ্বশুর-শাশুড়িকেও ফোনে জানান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ