গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গত রবিবার রাতে ও রাজশাহীর বাঘায় সোমবার রাতে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুন্দরগঞ্জের বিধবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আর বাঘার গৃহবধূকে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্র ধরে নির্যাতন করা হয়। বিধবাকে এর আগে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়েছিলেন অভিযুক্ত ছয়জন। এ দুই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কালিরখামার গ্রামের তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নিচে নির্যাতিত বিধবা গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তিনি সোমবার রাতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের প্রগ্রাম অফিসার মো. রুহুল আমিন সরকারের মাধ্যমে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। পরে কালিরখামার গ্রামের আসামি খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই নারী স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে একাই বাড়িতে থাকছিলেন।
কঞ্চিবাড়ী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান গতকাল জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, রোগীর চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সব নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাঘায় গতকাল সকালে গ্রেপ্তার সুরুজ মালিথা (৩৬) উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার রুবান মালিথার ছেলে। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন একই এলাকার এলু মালিথার ছেলে ঝুন্টু মালিথা (৩৫) ও গুলমাল প্রামাণিকের ছেলে রুজদার (৪২)। এ ঘটনায় সকালেই ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাঘা থানায় একটি মামলা করেন। গৃহবধূর বরাত দিয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, কলিগ্রামের এক দিনমজুর ২৯ এপ্রিল ধান কাটা কাজের জন্য নাটোরে যান। সেই থেকে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একাই থাকতেন। সোমবার দিবাগত রাতে ঝুন্টু মালিথা, সুরুজ মালিথা ও রুজদার বাড়ির প্রধান টিনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় শব্দ শুনে ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হন দিনমজুরের স্ত্রী। তখনই ওই তিনজন তাঁকে ধারালো হাঁসুয়া এবং চাকুর মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন।
ওসি বলেন, অভিযুক্ত অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।
সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট
- রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।
গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।
দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।