ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি

বসছে শয্যা, দ্রুত প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বসছে শয্যা, দ্রুত প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতাল
কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ছবিটি গতকাল তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২ নম্বর হলে এরই মধ্যে শয্যা বসানো হয়ে গেছে। এক্সপো জোনে ফ্লোরম্যাট বসানোর কাজ চলছে। এরপর সাজানো শুরু হবে রোগীর শয্যা, আসবাব।

আগে থেকে তৈরি করে রাখা হয়েছে চিকিৎসক, সেবিকা ও তাঁদের সহযোগী অন্যদের কক্ষ। এক্সপো জোন ও তিনটি হলে দুই হাজার ১৩ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি ৭১ শয্যার আইসিইউ ইউনিট থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ করতে দিন-রাত চলছে কাজ।

গতকাল বুধবার আইসিসিবিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট কভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসেছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান।

উপস্থিত ছিলেন আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন, মার্কেটিং (সেক্টর-এ) এইচওডি জেড এম আহমেদ প্রিন্স, হেড অব সাপ্লাই চেইন (সেক্টর-এ) মো. আব্দুর রহমান, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের জিএম (সেলস) জাকারিয়া জালাল।

আইসিসিবির এক্সপো জোনে হাসপাতাল নির্মাণের কাজের তদারকি করতে এসে গতকাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মো. মাসুদুল আলম বলেন, ‘এ হাসপাতালে বেড স্থাপনের জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা আমরা পর্যায়ক্রমে তৈরি করে আসছি। ফ্লোরম্যাট বসানো হচ্ছে, বেডও তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আমরা তৎপর আছি, এ দুর্যোগ মুহূর্তেও আমরা সবাই একাত্ম আছি। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এ হাসপাতালকে চিকিৎসা উপযোগী করার জন্য তৈরি করতে পারব। বসুন্ধরাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। এত সুন্দর একটি জায়গা আমাদের দিয়েছে, এটি যদি আমাদের তৈরি করতে হতো, তাহলে হয়তো এত দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারতাম না।’ তিনি আরো বলেন, টয়লেটের কাজও পর্যায়ক্রমে শেষ হয়ে যাচ্ছে, কমোড, বেসিন বসানো হয়েছে।
আসবাব প্রস্তুত করা আছে। এখন শুধু স্থাপন করা হবে। আইসিইউ শয্যা স্থাপনের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলে দ্রুত আইসিইউ শয্যা স্থাপন করতে পারবেন তাঁরা।

আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ফ্লোরম্যাট বিছানো এবং বেড স্থাপন করার যে কার্যক্রমগুলো তা মোটামুটি এগিয়ে গেছে। এখন বেডও বসে যাচ্ছে। ২ নম্বর হলে এরই মধ্যে বেড বসানো হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, এ কার্যক্রমগুলো শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না। বাংলাদেশে একমাত্র সেনাবাহিনী ছাড়া, পূর্ণাঙ্গভাবে অস্থায়ী হাসপাতাল করার অভিজ্ঞতা কারো ছিল না। এত বড় আকারে হাসপাতালের আয়োজন করার প্র্যাকটিসও কারো ছিল না। স্বাস্থ্য প্রকৌশলীরা স্থায়ী হাসপাতাল করেছেন। কিন্তু অস্থায়ীভাবে কোনো একটি জায়গাকে কনভার্ট করে কোনো হাসপাতাল তাঁরা এখনো করেননি। তাই তাঁদেরও অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। দিন-রাত পরিশ্রম করে একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ থেকে যেকোনো বিষয়ে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের সহায়তা করা হচ্ছে। বারবার জানতেও চাওয়া হচ্ছে কী কী সহায়তা তাঁদের দরকার। আশা করছি, আগামী ২৬-২৭ তারিখের দিকে এখানে করোনা রোগীদের সেবা দিতে পারব।’

এক্সপো জোনের পুরোটায় এয়ারকন্ডিশন লাগানো হয়েছে। ২৫০০ কিলোওয়াটের সাবস্টেশন এবং জেনারেটর বসানো হয়েছে। দ্রুত সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করা হবে, যেন চিকিৎসক ও সেবিকারা রোগীদের সার্বক্ষণিক মনিটর করতে পারেন।

গত ১২ এপ্রিল থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অস্থায়ী হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৫ দিনের মধ্যেই আইসিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ হিসেবে আগামী ২৭ এপ্রিলের আগেই হাসপাতালের সব কাজ সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করার কথা। দিন-রাত কাজ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরিদর্শন করে। পরে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ