<p>ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালু হলেও শিগগিরই গণহারে সেই পাসপোর্ট মিলবে না। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ছয় মাস। তবে আপাতত প্রতিদিন এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ জন আবেদন করতে পারবে রাজধানীর বাসিন্দারা। ঢাকার আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে করা যাবে ওই আবেদন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে প্রত্যেককেই। অফলাইনে আবেদনের সিস্টেম পরে চালু করা হবে। এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকার পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে পারবে না। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।</p> <p>ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান জানান, আবেদন ওকে অর্থাৎ ঠিক হলে আবেদনকারী অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট পাবেন। সে অনুযায়ী প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে। এমআরপির মতোই পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। আবেদনের সময় কাউকে ছবি দিতে হবে না, সত্যায়ন করারও দরকার হবে না।</p> <p><strong>যেভাবে আবেদন করা যাবে :</strong> ই-পাসপোর্টের আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। সেই ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট অফিস ফরম গ্রহণ করলে সঙ্গে সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট দেবে। সেই তারিখে গিয়ে জমা দিতে হবে প্রিন্ট করা ফরম। আর যদি পূরণ করা ফরম অ্যাকসেপ্ট (গ্রহণ) করার সুযোগ না থাকে তাহলে আবেদনকারী অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট পাবেন না। ফলে তাঁর আবেদন করারও সুযোগ থাকবে না।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার উদ্বোধনের পর কোনো আবেদন জমা পড়েনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে কর্মকর্তারা সবাই ব্যস্ত ছিলেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে সেগুলো গ্রহণ করার কার্যক্রম শুরু করতে দু-এক দিন লাগতে পারে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঢাকার তিনটি আঞ্চলিক অফিসের প্রতিটি ৩৫০-৪০০ ফরম গ্রহণ করবে। এক সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ আবেদন করতে চাইলেও যাঁরা খালি পাবেন তাঁরাই আপাতত আবেদন করতে পারবেন।</p> <p>ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সারা দেশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো এলাকাভিত্তিক ভাগ করা আছে। এক এলাকার ঠিকানা দিয়ে অন্য এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে না। যদি এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় আবেদন করতে যান তখন ফরম পূরণের সময়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনকারী জানতে পারবেন তাঁর আবেদন সঠিক হচ্ছে না।’</p> <p><strong>নবায়নের ক্ষেত্রে নিয়ম :</strong> ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান জানান, যাঁদের এমআরপির মেয়াদ ৯ মাসের বেশি রয়েছে তাঁদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমআরপি ও ই-পাসপোর্ট পাশাপাশি চলবে। যাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ দীর্ঘদিন রয়েছে তাঁদের কেন ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে? ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপিও দেওয়া হবে। এমআরপিতে তো বিদেশে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। যখন এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তখন তাঁরা আবেদন করলে ই-পাসপোর্ট পাবেন।</p> <p>সাইদুর রহমান খান বলেন, ই-পাসপোর্ট প্রথমে ঢাকার তিনটি পাসপোর্ট অফিস থেকে পাওয়া যাবে। সারা দেশে বিস্তৃত হতে ছয় মাস লেগে যেতে পারে। আগামী জুন-জুলাইয়ে সব আঞ্চলিক অফিস থেকে সেটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেভাবেই কাজ করে যাওয়া হচ্ছে।</p>