রাজপথে বিক্ষোভ, অবরোধ, ধর্মঘট আর শেষে দুই দফা আমরণ কর্মসূচির পর হাসি ফুটেছে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের। গতকাল বৃহস্পতিবার অবশেষে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের স্লিপ পেয়েছেন তাঁরা। এখন স্লিপ অনুযায়ী মজুরি কমিশনের অর্থ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
গতকাল দুপুরে নিজ নিজ মিলে গেট সভার মধ্য দিয়ে শ্রমিক নেতা ও মিলের কর্মকর্তারা এই স্লিপ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে পে-কমিশনের সঙ্গে মজুরি কমিশন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ঘোষিত মজুরি কমিশন বাস্তবায়নে শ্রমিকদের আন্দোলনে নামতে হয়। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর আন্দোলনের পর অবশেষে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মজুরি কমিশন। মজুরি স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী পাটকল শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহানা শারমিন মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো থাকবেন। কিন্তু আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান জুটমিলগুলোও ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি ঘোষিত মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে মিলকেও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকরা মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের চিঠি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এখন আমরা মিলগুলো বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ চাই।’