শীতের সবজিতে বাজার ভরা, তার পরও নামছে না দামের পারদ। সবজি এক হাত থেকে অন্য হাতে গেলেই বাড়ছে দাম। এর মধ্যেও দেশি পেঁয়াজের বাজারে বইছে কিছুটা সুবাতাস। আগের চেয়ে কিঞ্চিৎ কমেছে দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ।
হাত বদলেই বাড়ে দরের গতি
সবজিতে বাজার ভরা দাম লাগামছাড়া
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

বগুড়া : বগুড়ার সবচেয়ে বড় সবজি বাজার মহাস্থানহাটে গতকাল শনিবার সকালে দেশি কাটা পেঁয়াজের মণ ছিল ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ে ৭০-৮০ টাকা। একই পেঁয়াজ পাতাসহ দাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
বগুড়ার শিবগঞ্জের চণ্ডিহারা গ্রামের চাষি খয়বর আলী জানান, মহাস্থানহাটে ২৫০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করেছেন। তাঁর এই মুলা বগুড়ায় নিয়ে ব্যাপারীরা তিন গুণ দামে বিক্রি করছেন।
শেখেরকোলা ইউনিয়নের চাষি লুৎফর রহমান বলেন, তিনি মহাস্থানহাটে বড় সাইজের বাঁধাকপি এনেছিলেন ৩০০ পিস। তাঁর কাছ থেকে এই কপি পাইকাররা কিনে নেন ১৮ টাকা পিস হিসেবে। অথচ ১৫ দিন আগেও তিনি একই সাইজের কপি বিক্রি করেছেন প্রতিটি ২৫-২৬ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতিটি কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
হিসাব মেলানোর জন্য বগুড়ার বড় খুচরা বাজার শহরের ফতেহ আলীতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৫০, গোল বেগুন ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০, কচুরমুখী ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ওলকচু ৪০, ফুলকপি ৬০, বাঁধাকপি ৪০, করলা ৬০, পটোল ৪০, শিম ১২০, ঝিঙে ৪৫, ঢেঁড়স ৫০, বরবটি ৪০, পেঁপে ২০, কাঁকরোল ৪০ এবং দেশি শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফরিদপুর : ফরিদপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ এখন দুই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও ছয় হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে এ পেঁয়াজ। পুরনো দেশি পেঁয়াজ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। এদিকে শীতাকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, আলু, বেগুন ও টমেটো বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। সালথার ইউসুফদিয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি বাচ্চু সরদার জানান, দিন যত যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম তত কমছে। তিনি বলেন, এ মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে চৈত্র মাসের মাঝামাঝিতে। তখন পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।
পাবনা : বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও মাঠ থেকে সরাসরি কৃষকরা যে দামে বিক্রি করছেন শহরের বাজারগুলোতে এসে সেসব পণ্যের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনার বড় বাজার, মাসুম বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেল—দুই দিন আগেও বুধবার এই বাজারেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
এ ছাড়া নতুন আলু প্রতিকেজি ৩০, বেগুন ৩০, মুলা ১৫, শিম ২০, করলা ৬০, ফুলকপি ৩৫, পেঁয়াজের ফুল ৩০, পালংশাক ২০, টমেটো ৮০, শসা ৫০, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ঈশ্বরদীর কামালপুর গ্রামের চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, সবজি যে দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাঠপর্যায়ে কৃষক সে দাম পায় না। গতকাল কামালপুর বাজারেই কৃষকরা বেগুন ২০, পেঁয়াজ ১০০, শিম আট, ফুলকপি ২৫, পেঁয়াজের ফুল ২৫, পালংশাক ১০, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে।
সম্পর্কিত খবর

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা নিয়ে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বিজ্ঞপ্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার)-এর স্বাক্ষরসংবলিত একটি ভিত্তিহীন প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে পিএসসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি বলেছে, এ রকম কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন থেকে দেওয়া হয়নি। এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তথ্যের জন্য কমিশনের মূল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও নোটিশ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ভারতের ত্রিপুরা গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

উপহার হিসেবে ভারতের ত্রিপুরায় ৩০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে পাঠানো রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙ্গা আম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যায়।
জানা যায়, গতকাল বিকেলে আমভর্তি কাভার্ড ভ্যান স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ৬০টি কার্টনে করে মোট ৩০০ কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম পাঠানো হয়।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আম পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় সকল প্রকার ফি ও আদায়যোগ্য কর ছাড়াই আমগুলো ছাড়করণ করা হয়। এ সময় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছর ত্রিপুরার রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহারসামগ্রী হিসেবে আম পাঠায় বাংলাদেশ।

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারক বিকাশ কুমার সাহাসহ ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের অবসরে পাঠিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। জানা গেছে, গত ৩ জুলাই আইন ও বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্টে ওই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট গতকাল তা আইন ও বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওই ১৮ সদস্যের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে তাঁদের ২০১৮ সালের চাকরি আইনের ৪৫ ধারার বিধান মতে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।
অবসরে পাঠানো বিচারকরা হলেন বিকাশ কুমার সাহা, শেখ মফিজুর রহমান, মো. মাহবুবার রহমান সরকার, শেখ গোলাম মাহবুব, মো. মজিবুর রহমান, মো. এহসানুল হক, মো. জুয়েল রানা, মো. মনির কামাল, সহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ ফায়জুল করীম, মো. নাজিমোদ্দৌলা, এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ফজলে এলাহী ভূইয়া, আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, মো. রুস্তম আলী, মো. নুরুল ইসলাম, এ কে এম এনামুল করিম ও মোহাম্মদ হোসেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ওই সদস্যরা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।

এনবিআরের প্রথম সচিব বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব তানজিনা রইসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়েছে, তানজিনা রইসের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) এবং ৩(গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যেহেতু সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করে, সেহেতু ওই বিধিমালার বিধি ১২(১) অনুযায়ী প্রথম সচিব তানজিনা রইসকে (পরিচিতি নম্বর ৩০০১৫৮) চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, তিনি ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরে আসেননি। তাঁকে মেইলে বারবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তানজিনা রইসের ব্যাচমেট ও ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং সেখানে একটি চাকরি করছেন। তাঁর আর দেশে ফিরে এসে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।