ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা

আজিম হোসেন, বরিশাল
আজিম হোসেন, বরিশাল
শেয়ার
শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ শীর্ষক ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা অমর এ গানের সুরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে বরিশালের একটি প্রভাবশালী মহল। ৪৭ বছর আগে নগরের হাসপাতাল রোডে ‘শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ১০ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি ইজারা নিয়ে সংগীত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এত বছর পর বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন অমৃত গ্রুপের স্বত্বাধিকারী বিজয় কৃষ্ণ দে। এরই মধ্যে তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে বরিশাল যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন।

এ আদালত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে কার্যকর।

এ ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সর্বমহলে। এরই মধ্যে জমিটি রক্ষা করতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে। মামলাটি জরুরিভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসনের ভেস্টেড প্রপার্টি (ভিপি) সেলের আইনজীবী মোতালেব হাওলাদারকে চিঠি দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, শহীদ আলতাফ মাহামুদের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টি নিয়ে বরিশালের মানুষ সোচ্চার। বিষয়টি স্পর্শকাতরও বটে। তাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বরিশাল জেলা শাখার সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৭২ সালে বরিশালে শহীদ আলতাফ মাহমুদের নামে সংগীত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

পরে বরিশাল নগরের বগুড়া-আলোকান্দা মৌজার ১৩৪ নম্বর খতিয়ানের ১০ শতাংশ জমি ও একতলা পাকা ভবন শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের নামে ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। সেই থেকে হাসপাতাল রোডের ওই পুরনো একতলা ভবনে শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু নগরের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি বিজয় কৃষ্ণ দে তাঁর স্ত্রীর নামে জমিটির দখল নিতে চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, এ সংগীত বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভাষাসৈনিক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ ও তাঁর অমর সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারছে নতুন প্রজন্ম। তাঁরা এটি রক্ষায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করবেন।

বরিশাল শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল বলেন, ১৯৯৯ সালে নগরের রূপাতলীর রফিক উদ্দিন আহমেদ রফিজসহ কয়েকজন মিলে ওই জমি নিজেদের এবং তাঁদের ভোগদখলে রয়েছে দাবি করে জিয়াউদ্দিন হাসান কবিরকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু জিয়াউদ্দিন হাসান কবির ওই জমির দখলে যেতে পারেননি। ২০০৭ সালে ওই জমি সরকারি গেজেটভুক্ত হয়। ২০০৮ সালে ওই পক্ষটি ব্যবসায়ী বিজয় কৃষ্ণ দের স্ত্রী শৈল দের কাছে জমিটি ১৬ লাখ টাকায় রেজিস্ট্রিমূলে বিক্রি করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে বিজয় কৃষ্ণ দে ওই জমি ভোগদখলে যেতে পারেননি। ২০১২ সালে বিএস রেকর্ডেও ওই সম্পত্তি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জমিটি একসনা হিসেবে ইজারা দেওয়া। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ইজারা নবায়ন করে আসছে।

জানা গেছে, ব্যবসায়ী বিজয় কৃষ্ণ দে তাঁর স্ত্রী শৈল দেকে বাদী করে ২০১২ সালে বরিশালের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে জমি দাবি করে মামলা করেন, যার নম্বর ৩০০/১২। মামলায় বরিশাল জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা জবাবে বলা হয়েছে, এ জমি ও একতলা ভবন শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ১৯৭২ সালে ইজারা নিয়ে সেখানে সুনামের সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে। এ জমিতে সরকারপক্ষে ইজারা ছাড়া অন্য কারো দখল নেই। তফসিলভুক্ত ভূমিতে ইজারাদার শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয় স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিল ও সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে আসছে। এ জমি নগরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃষ্টি করে অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সংগীত শিক্ষক বীণা সেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের স্মৃতি রক্ষার্থে ওই ভবনটিতেই সংগীত বিদ্যালয়টি যাতে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনন্যা বিশ্বাস ও হিমাদ্রি সরকার বিদ্যালয়টি যাতে বর্তমান ভবনে থাকে তার জন্য সরকারের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ভিপি সেলের কৌঁসুলিকে চিঠি দিয়েছি, যাতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আদালতে লড়াই করেন।’ শিগগিরই এর সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ