ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

‘রক্ষাকবচ’ সুন্দরবনকে রক্ষার উদ্যোগ নেই

  • আট বছর ধরে ঘুরছে জনবল কাঠামোর প্রস্তাব<>শূন্য পদ ২৫২৩
আরিফুর রহমান
আরিফুর রহমান
শেয়ার
‘রক্ষাকবচ’ সুন্দরবনকে রক্ষার উদ্যোগ নেই

ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলার পর বুলবুলের তাণ্ডবের সময়ও বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন নিজের বুক চিতিয়ে দিয়েছে। বরাবরই মায়ের মতো আগলে রেখেছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের। ফলে উপকূলজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। সরকারসহ দেশ-বিদেশের সব মহল এখন সুন্দরবনকে ‘রক্ষাকবচ’ বলে স্বীকৃত দিয়েছে।

কিন্তু সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটারের বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন রক্ষার বেলায় দেখা যায় যত অনীহা ও অবহেলা। সুন্দরবনে বন্য প্রাণীর পাচার ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো, শিকার বন্ধ, ঝড়-পরবর্তী সময়ে বিশেষ কর্মপরিকল্পনাসহ সুন্দরবনের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়াতে ২০১১ সালে বন বিভাগ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। বাড়তি জনবল চেয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো অনুমোদন পায়নি।
ফলে সীমিত জনবল নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বন বিভাগে সর্বশেষ ২০০০ সালে বড় আকারে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর ১৯ বছর নতুন কোনো জনবল নেওয়া হয়নি।

সারা দেশেই বন উজাড় হচ্ছে; বনের জমি জবরদখল হচ্ছে।

কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেছেন একাধিক কর্মকর্তা। অবশ্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. বিল্লাল হোসেন বলেছেন, জনবল নিয়োগের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই নতুন জনবলকাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।

বন বিভাগ থেকে ২০১১ সালে প্রথম যখন জনবলকাঠামোর প্রস্তাব পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় তখন বিভিন্ন পদের বিপরীতে ১৯ হাজার ৯৬৩ জন জনবল চাওয়া যায়। ২০১৫ সালে একটি সভায় সেটি কমিয়ে ১৭ হাজার ৮২০ জন করা হয়।

২০১৭ সালে ওই প্রস্তাবে জনবল আরো কমিয়ে এক হাজার ৭০০ করা হয়। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ওই প্রস্তাব থেকে লোকবল আরো কমতে পারে বলে আভাস দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল—এই সময়ের মধ্যেও কেন জনবলকাঠামো অনুমোদন পায়নি এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে যে জনবলের প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে, সেটি আমার জানা নেই। আমি অনেক পরে এসেছি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে। জনবলকাঠামো ঠিক করে আমরা প্রস্তাবটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাব। এত জনবল কেন দরকার, সেটি ওই দুই মন্ত্রণালয়কে বোঝাতে হবে। তারপর মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন।’ তবে বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, বন বিভাগে নতুন জনবল কেন দরকার, কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা পরিবেশ মন্ত্রণালয় বুঝতে চায় না। গুরুত্বও অনুধাবন করতে চায় না।

বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। সুন্দরবন রক্ষার জন্য কাজ করে এমন অনুমোদিত পদ আছে এক হাজার ১৭৩টি। এর মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম (খুলনা-সাতক্ষীরা অংশ) ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ (বাগেরহাট) মিলিয়ে মোট কর্মরত আছেন ৭৯৪ জন। পদ শূন্য আছে ৩৭৯টি। সুন্দরবন রক্ষায় যাঁদের ওপর মূল দায়িত্ব থাকে সেই ফরেস্ট রেঞ্জারের পদ সুন্দরবনের জন্য অনুমোদিত আছে ৩০টি। এর মধ্যে এখন কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। বাকি ২৬টি পদই খালি পড়ে আছে। আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ ডেপুটি রেঞ্জারের মঞ্জুরি করা পদ আছে ৪৫টি; এখন সব পদই খালি। অর্থাৎ এই পদে কোনো কর্মকর্তাই নেই। আর ফরেস্টার পদ আছে ১০৫টি, সেখানে কর্মরত আছেন ৬৭ জন। শূন্যপদ আছে ৩৮টি।

সুন্দরবনের সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষার দায়িত্ব খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খানের। জনবল সংকটের কারণে তাঁকে প্রতিনিয়ত কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় জানতে চাইলে একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে সুন্দরবন এলাকা থেকে গত শুক্রবার ১১২ জনকে আটক করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, আটক করার পর তাদের বন আদালতে নিয়ে যেতে হয়। বন আদালত বাগেরহাটে। এতজন অপরাধীকে বন আদালতে নিয়ে যেতে বন বিভাগের যে জনবল দরকার তা নেই। মঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘গত এক দশকে সুন্দরবন এলাকায় কাজের ব্যাপ্তি বেড়েছে। প্যাট্রলিংয়ের হার বেড়েছে। পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বাসিন্দাদের সহব্যবস্থাপনার কার্যক্রমও বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে তো আমাদের জনবল একজনও বাড়েনি। সীমিত জনবল নিয়ে এত বিশাল একটি এলাকা (সুন্দরবন) রক্ষা করা খুবই কঠিন কাজ।’

প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বন বিভাগের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই অনুমোদন পাবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক

শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।  গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।

আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিসেফ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং প্রশিক্ষিত সমাজকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের এই কঠিন সময়ে মানসিক সহায়তা দেওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয়, গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষা করে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়, যেন তাদের ওপর কোনো বাড়তি মানসিক চাপ না পড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্প্রদায়ের প্রতি আরো সহানুভূতিশীল আচরণ নিশ্চিত হয়।

মন্তব্য

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

তবে নিজে বিয়ে করেননি। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগমের সংসার বলতে ছিল শিক্ষার্থীরাই।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

গত সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। সোহাগপুরে মাসুকার বড় বোন পাপিয়ার স্বামীর বাড়ি। মৃত্যুর আগে মাসুকা জানিয়েছিলেন, লাশটা যেন তাঁর বোনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বোনের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ দাফনের কথাও তিনি বলে যান। মাসুকাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকূট গ্রামে। তবে বেড়ে উঠেছেন পৌর এলাকার মেড্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করা মাসুকা চাকরির সুবাদে চলে যান ঢাকা। প্রথমে মিরপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
এরপর যোগ দেন মাইলস্টোন স্কুলে।

মন্তব্য

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।

সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সেনা সদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনা সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

৭টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। মিরপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. আফজাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে চার হাজার ৫০০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ