ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলার পর বুলবুলের তাণ্ডবের সময়ও বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন নিজের বুক চিতিয়ে দিয়েছে। বরাবরই মায়ের মতো আগলে রেখেছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের। ফলে উপকূলজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। সরকারসহ দেশ-বিদেশের সব মহল এখন সুন্দরবনকে ‘রক্ষাকবচ’ বলে স্বীকৃত দিয়েছে।
‘রক্ষাকবচ’ সুন্দরবনকে রক্ষার উদ্যোগ নেই
- আট বছর ধরে ঘুরছে জনবল কাঠামোর প্রস্তাব<>শূন্য পদ ২৫২৩
আরিফুর রহমান

সারা দেশেই বন উজাড় হচ্ছে; বনের জমি জবরদখল হচ্ছে।
বন বিভাগ থেকে ২০১১ সালে প্রথম যখন জনবলকাঠামোর প্রস্তাব পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় তখন বিভিন্ন পদের বিপরীতে ১৯ হাজার ৯৬৩ জন জনবল চাওয়া যায়। ২০১৫ সালে একটি সভায় সেটি কমিয়ে ১৭ হাজার ৮২০ জন করা হয়।
বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। সুন্দরবন রক্ষার জন্য কাজ করে এমন অনুমোদিত পদ আছে এক হাজার ১৭৩টি। এর মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম (খুলনা-সাতক্ষীরা অংশ) ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ (বাগেরহাট) মিলিয়ে মোট কর্মরত আছেন ৭৯৪ জন। পদ শূন্য আছে ৩৭৯টি। সুন্দরবন রক্ষায় যাঁদের ওপর মূল দায়িত্ব থাকে সেই ফরেস্ট রেঞ্জারের পদ সুন্দরবনের জন্য অনুমোদিত আছে ৩০টি। এর মধ্যে এখন কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। বাকি ২৬টি পদই খালি পড়ে আছে। আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ ডেপুটি রেঞ্জারের মঞ্জুরি করা পদ আছে ৪৫টি; এখন সব পদই খালি। অর্থাৎ এই পদে কোনো কর্মকর্তাই নেই। আর ফরেস্টার পদ আছে ১০৫টি, সেখানে কর্মরত আছেন ৬৭ জন। শূন্যপদ আছে ৩৮টি।
সুন্দরবনের সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষার দায়িত্ব খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খানের। জনবল সংকটের কারণে তাঁকে প্রতিনিয়ত কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় জানতে চাইলে একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে সুন্দরবন এলাকা থেকে গত শুক্রবার ১১২ জনকে আটক করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, আটক করার পর তাদের বন আদালতে নিয়ে যেতে হয়। বন আদালত বাগেরহাটে। এতজন অপরাধীকে বন আদালতে নিয়ে যেতে বন বিভাগের যে জনবল দরকার তা নেই। মঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘গত এক দশকে সুন্দরবন এলাকায় কাজের ব্যাপ্তি বেড়েছে। প্যাট্রলিংয়ের হার বেড়েছে। পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বাসিন্দাদের সহব্যবস্থাপনার কার্যক্রমও বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে তো আমাদের জনবল একজনও বাড়েনি। সীমিত জনবল নিয়ে এত বিশাল একটি এলাকা (সুন্দরবন) রক্ষা করা খুবই কঠিন কাজ।’
প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বন বিভাগের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই অনুমোদন পাবে।
সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।