<p>আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। সেমিনারে আলোচকরা বলেছেন, পিতৃতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে নারীর ওপর সহিংসতা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীরা শুধু নারী হিসেবে নয়, নারী ও আদিবাসী হিসেবে নির্যাতন ও প্রান্তিকতার শিকার হচ্ছে। তাদের ক্ষমতায় নিশ্চিত করা গেলে এই নির্যাতন-নিপীড়ন কমবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।</p> <p>গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ডাব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক। বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা।</p> <p>আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা এবং নারী নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব চঞ্চলা চাকমা ও সদস্য তুলি লাবণ্য ম্রং।</p> <p>সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের সংবিধানে সকল মানুষের সমঅধিকারের কথা বলা হলেও এখনো নারীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা যায়নি। আর আদিবাসী নারীরা আরো বেশি বঞ্চিত।’ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নারী নেত্রী আয়শা খানম বলেন, ধর্ম-গোত্র-শ্রেণি ও দৈহিক বিভাজনের সুযোগ নিয়ে নারীর প্রতি নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এই নির্যাতন বন্ধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ নেই। সঞ্জীব দ্রং বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও দেশের ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসী জনগণ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।</p>