বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপি সমর্থক দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে। মৌলভীবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় গ্রেপ্তার হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ২৫ নেতাকর্মী। প্রতিনিধিদের রিপোর্টে জানা গেছে এসব তথ্য।
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার পুলিশ শুক্রবার গ্রেপ্তার করে অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল ও দেওকলস ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়াকে।
রুহেল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও তাহিদ সহসভাপতি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেওকলস ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাছুম আহমদ মারুফকে। গতকাল দুপুরে তাঁদের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মৌলভীবাজারে গতকাল ভোরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জামায়াতে ইসলামী রাজনগর সদর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমানকে।
পৌর শহরের বড়হাট এলাকা থেকে দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ওরফে মোরশেদকে।
নওগাঁর সাপাহারে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে। শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিন্তপুর মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মেসবাউল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, সুলতান হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, তোজাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর আলম, নাজির হোসেন, মতিউর রহমান (৪৫), আব্দুল বাসেদ ও ইব্রাহিম হোসেন।
তারা রাজশাহীতে ঐক্যজোটের সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জামায়াত ও বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে। তাদের মধ্যে জামায়াতের আট নারী কর্মী রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আইয়ুব আলী, মিলন, আব্দুল্লাহ, আলম, আনারুল, শিরিন আক্তার, রাহেলা বেগম, রোজিনা বেগম, আজিজা বেগম, তাহেরা বেগম, শুকতারা বেগম, সাকেরা বেগম ও নাজমা বেগম। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামায়াতের আট নারী কর্মী শুক্রবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার মহিষপুর এলাকার একটি বাড়িতে বৈঠক করছিল বলে জানান শিবগঞ্জ থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমান।