মস্তিষ্ক সচল রাখতে কী শিশু, কী বয়োজ্যেষ্ঠ—সবারই পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত। প্রতিদিন
কতখানি ঘুমানোর প্রয়োজন? বয়সভেদে ঘুমানোর সময় নিয়ে আজকের টিপস।
নবজাতক
জন্মের পর থেকে তিন মাস পর্যন্ত শিশুর ঘুমের সময় ১৪-১৭ ঘণ্টা। এ ঘুম তাদের দ্রুত শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
৪ থেকে ১১ মাস
চতুর্থ মাস থেকে স্বাভাবিকভাবেই শিশুর ঘুমের ধারায় পরিবর্তন দেখা যাবে। এ বয়সে প্রতিদিন ১২-১৫ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
এক থেকে দুই বছর
দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর ১১-১৪ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের পরিমাণ যেমন কমবে, তেমনই দিনের বদলে রাতে ঘুমাতে তারা উৎসাহী হয়ে উঠবে।
তিন থেকে পাঁচ বছর
এ বয়সে শিশুর ঘুমানো উচিত ১০-১৩ ঘণ্টা। এ ঘুমও তার সুস্থতার জন্য খুব প্রয়োজনীয়।
ছয় থেকে ১৩ বছর
শিশু স্কুলে ভর্তির পর থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পড়াশোনার চাপে অনেক বাবা-মা শিশুকে এ সময় কম ঘুমিয়ে পড়াশোনায় উৎসাহী করতে চান, যা মোটেও উচিত নয়।
মস্তিষ্কের বিকাশ ও সুস্থ থাকার জন্য শিশুকে এ বয়সে পর্যাপ্ত ঘুমাতে দিতে হবে।
১৪ থেকে ১৭ বছর
এ বয়সে মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় না। এ সময় প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। অনেক তরুণই এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কম ঘুমায়, যা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১৮ থেকে ২৫ বছর
এ বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও ঘুমের পরিমাণ কিছুটা বেশি রাখা উচিত।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
২৬ থেকে ৬৪ বছর
এ বয়সে ঘুমাতে হবে ৭-৯ ঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই এ বয়সে মানুষের ঘুম কমতে থাকে। তবে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৬৫ বছরের বেশি
বয়স যখন পঁয়ষট্টি পার হয়, তখন ঘুমাতে হবে সাত-আট ঘণ্টা। অনেকেই এ বয়সে নানা কারণে ভালো ঘুমাতে পারে না। তবে স্বাস্থ্যগত পার্থক্যের ওপরও এটি অনেকাংশে নির্ভর করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
ওমর শরীফ পল্লব