ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

দেওয়ানি মামলা শুরুর আগে এডিআর প্রয়োগ বাধ্যতামূলক

রেজাউল করিম
রেজাউল করিম
শেয়ার
দেওয়ানি মামলা শুরুর আগে এডিআর প্রয়োগ বাধ্যতামূলক

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ সংশোধন করে তাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান (এডিআর) যোগ করা হয় ২০০৩ সালে। শুধু পারিবারিক ও অর্থঋণ মামলার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগে বিচারককে ঐচ্ছিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এডিআর বাধ্যতামূলক করতে আরো দুইবার দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালের সংশোধনীতে সব ধরনের দেওয়ানি মামলায় এডিআর প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়।

এই বাধ্যতামূলকের বিধান কবে থেকে কার্যকর হবে, তা সরকারের গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানোর কথা ছিল। দীর্ঘ চার বছর পর সেই প্রজ্ঞাপন জারি করল আইন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি জারি করা প্রজ্ঞাপনে আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে দেওয়ানি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা’ অর্থাৎ সব দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে এডিআর কার্যকর করা বাধ্যতামূলক হলো। ওই প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সই করেন আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।

আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধিতে সব ধরনের দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে এডিআর প্রয়োগ বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, এই বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মামলার আগে বা এখন যেসব মামলা চলমান রয়েছে সেগুলোতেও এডিআর প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে মামলা শুরুর আগে অবশ্যই বাদী-বিবাদীকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া কোনো দেওয়ানি মামলার আপিল পর্যায়েও এডিআর প্রয়োগ করতে পারবেন বিচারক।

বিকাশ কুমার সাহা আরো বলেন, ২০১২ সালে এডিআর বাধ্যতামূলক করে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করলেও সেখানে বলা ছিল, এটি প্রয়োগ হবে সরকারের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে। এখন গেজেট হলো। ফলে দেওয়ানি মামলা শুরুর আগে এখন থেকে এডিআর বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধনের মাধ্যমে সাধারণ দেওয়ানি আদালতে পারিবারিক ও অর্থঋণ মামলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে দেওয়ানি বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতা ও সালিসির বিধান প্রণয়ন করতে যথাক্রমে ফৌজদারি কার্যবিধিতে ৮৯ক ও ৮৯খ ধারা সংযোজন করা হয়।

এ সংশোধনীর মাধ্যমে দেওয়ানি আদালতের বিচারকদের ঐচ্ছিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই বিধান দুটিতে বলা হয়, বিচারক চাইলে কোনো মামলায় আরজি ও লিখিত জবাব পেশের পর শুনানি বন্ধ রেখে নিজেই মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করতে পারবেন অথবা বিরোধটি মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য পক্ষগুলোর নিযুক্ত আইনজীবীদের কাছে বা পক্ষগুলোর কাছে বা জেলা জজের গঠিত প্যানেলের কোনো মধ্যস্থতাকারীর কাছে পাঠাবেন। ২০০৬ সালে দেওয়ানি কার্যবিধিতে আবারও সংশোধনী আনা হয়, যাতে দেওয়ানি মামলা আপিল আদালতেও মধ্যস্থতা করা যায়। সংযোজন করা হয় ধারা ৮৯গ। আদালতকে প্রদত্ত এ ক্ষমতা ঐচ্ছিক হওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অসহযোগিতা ও প্যানেল গঠন না করায় এ ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি। ফলে বাধ্যতামূলকভাবে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পরে ২০১২ সালে দেওয়ানি কার্যবিধিতে আরেক দফা সংশোধনী এনে ধারা ৮৯ক ও ৮৯গ সংশোধন করে বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতে মধ্যস্থতার বিধানকে বাধ্যতামূলক করা হয় এবং সংযোজন করা হয় ধারা ৮৯ঘ ও ৮৯ঙ। ধারা ৮৯ঘ-তে বিধান করা হয় যে, মামলার পক্ষদ্বয় চাইলে ২০১২ সালের এ সংশোধনীর পূর্বে দায়ের হওয়া বিচারাধীন মামলা বা আপিল মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবে এবং আদালত আইন অনুযায়ী তা মধ্যস্থতা করবেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘এডিআর বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে অনেক জনপ্রিয়। আমাদের সরকারও সেটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এই এডিআর সম্পর্কে আইনজীবী ও বিচারকদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে এই পদ্ধতি কী পরিমাণ বাস্তবায়িত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণের। সাধারণ জনগণের মাঝেও এডিআরের বিষয় প্রচার করতে হবে। এ ছাড়া এডিআর বাস্তবায়নে কী কী বাধা রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করে এর সমাধান করতে হবে সরকারকে। তাহলে বিচারপ্রার্থীরা এর সুফল পাবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ এক হাজাতির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম এস এম আব্দুল হক (৭০)। গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ওই কয়েদির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আব্দুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. রোকন বলেন, নিহত আব্দুল হক খুলনার কবি ফররুখ একাডেমি মোড়ের ইমান আলী শেখের ছেলে। খুলনা কারাগারে অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন সাবেক সেনা সদস্যও রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএসের ৮০৭ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় ঢোকেন পাঁচ ব্যক্তি। এই দলের সদস্যদের টার্গেট ছিল ভাড়াটিয়া বোরহানের বাসাটি।

ওই ব্যক্তিকে না পেয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মূল্যবান সামগ্রী ব্যাগে ভরতে থাকেন তাঁরা। এই ব্যক্তিদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি অনুসরণ করার পর এক ব্যক্তি ডাকাত যাচ্ছে বলে আশপাশের লোকজনকে সতর্ক করেন। পরে গাড়িটি এনডিসি চেকপোস্টের কাছে পৌঁছলে সামনের আরেকটি গাড়ির কারণে তা আটকে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচজনকেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পল্লবী থানার পুলিশের দাবি, তারা চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে করপোরাল (অব.) মুকুল জানান, মিরপুর-১০-এর এক চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে হারুনুর রশিদের পরিচয় হয়। হারুন জানান, এক ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

তবে পুলিশ বলছে, এটি কোনো অভিযান ছিল না, বরং পরিকল্পিত ডাকাতি ছিল। আটক লেফটেন্যান্ট ফিরোজ ইফতেখার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জাস্টিস ফর কমরেডস নামের একটি সংগঠনের সদস্য। অন্যদিকে করপোরাল মুকুল সহযোদ্ধা নামের একটি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত, যা সেনাবাহিনী থেকে বিতাড়িত বা অসন্তুষ্টদের নিয়ে গঠিত। পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ডিওএইচএস থেকে চারজনকে আটক করে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্র সংলগ্ন রেলওয়ের রোপওয়ের (রজ্জুপথ) সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের বাংকার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে।

 এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি একইভাবে অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ দেন আরেক শ্রমিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাতেও রেলওয়ের রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করতে যান হাবিবুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরো দুজন শ্রমিক।

হাবিবুর গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করছিলেন। বাকি দুজন মাথায় পাথর বহন করে নৌকায় নিয়ে রাখছিলেন।

কাজের এক পর্যায়ে হঠাৎ ওপর থেকে বালু ধসে পড়ে। এতে হাবিবুর বালুচাপা পড়েন। এ সময় তাঁর সঙ্গী দুজনের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় হাবিবুরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে লাশ বাড়ি নিয়ে যান।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে একই এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে বালুধসে লিটন মিয়া নামের এক শ্রমিক প্রাণ হারান। এ নিয়ে চলতি বছর রেলওয়ের রোপওয়ে বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা ও বাংকার এলাকার পাথর লুটপাটের পর সাদা পাথর এলাকায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে একটি চক্র পাথর লুট শুরু করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রজ্জুপথটি (রোপওয়ে) বাংকার এলাকায় অবস্থিত। রোপওয়ে এলাকাই সংরক্ষিত বাংকার হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতকে পাথর পরিবহনের জন্য স্থল বা জলযানের বিকল্প হিসেবে ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় এই রোপলাইন। এ এলাকায় টিলার মতো সামান্য উঁচু ভূমি ও সমতল মাটির নিচে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর। জানা গেছে, রাতের বেলায় প্রশাসনের  কোনো নজরদারি থাকে না। তখন পাথর লুট করে বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা।

 

মন্তব্য
ডাকসু নির্বাচন

অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভায় উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

সেই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ১২৮ জনকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ১২৬ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না। পাশাপাশি শাহবাগ থানায় মামলাও করা হয়েছিল এ ঘটনা নিয়ে।
সেই মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে ১২৬ জনকে সামরিক বহিষ্কার করেছে, তাঁরা ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শাহবাগ থানায় যে মামলা হয়েছে তার মধ্যে এই ১২৬ জনের কেউ কেউ থাকতে পারেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ