ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭
বঙ্গোপসাগরে গণডাকাতি

দুই দিনে ২৬ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা প্রতিনিধি
শেয়ার
দুই দিনে ২৬ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

বঙ্গোপসাগরে গত দুই দিনে দুই দফায় জেলেদের নৌকায় গণডাকাতির পর ২৬ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। গত শনিবার রাতে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কচিখালী এলাকায় এবং গতকাল রবিবার সকালে পক্ষীদিয়া এলাকায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নিজেদের মোবাইল ফোন নম্বরও দিয়ে গেছে জলদস্যুরা।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে কচিখালী এলাকায় জাল ফেলে ট্রলারেই ঘুমিয়ে ছিল জেলেরা।

রাত দেড়টার দিকে সুন্দরবনকেন্দ্রিক একটি জলদস্যু বাহিনী জেলেদের নৌকার বহরে হামলা চালায়। এ সময় তারা জেলেদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং মাছ, জাল, খুচরা যন্ত্রাংশসহ নগদ অর্থ লুট করে। একই সময় ছয় ট্রলার থেকে ছয় জেলেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের গহিনে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরো জানান, পরদিন গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পক্ষিদীয়া এলাকায় জেলেদের নৌকায় হামলা চালিয়ে গণডাকাতি শেষে আরো ২০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।

অপহরণের সময় নিজেদের 'ভাইভাই বাহিনী'র সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিতে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল ফোন নম্বরসহ একটি টোকেন দিয়ে যায় তারা।

জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আরো জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃত সব জেলের নাম জানা যায়নি। তবে ছগির মিয়া, রফিক হাওলাদার, আ. খালেক, দুলাল, কালাম মীর, লিটন, রফিক, জাহাঙ্গীর, লাল মিয়া, কবীর মিয়া, জাফর মিয়া ও ইউনুস মিয়া নামের কয়েক জেলের নাম জানা গেছে। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

এদিকে ২৬ জেলে অপহরণের খবর পাওয়ার পর থেকে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে জেলে পরিবারগুলো। অপহৃত জেলে কালাম মীরের স্ত্রী ছালমা (২৩) জানান, একমাত্র ছেলেশিশু নিয়ে অভাবী সংসার তাঁদের। সাগরে ঠিক সময়ে মাছ না পড়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁর স্বামী কালাম মীরকে জলদস্যুরা ধরে নিয়ে গেছে। এখন তাঁর শিশুকে কী খাওয়াবেন, নিজেই বা কী খাবেন আর স্বামীকেই বা কী করে ছাড়িয়ে আনবেন_এ সবের কিছুই জানা নেই তাঁর।
অপহৃত জেলেদের একাধিক স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সবার অবস্থা ছালমা বেগমের মতোই।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার এস এ রউফ জানান, জেলে অপহরণের বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য

মানববন্ধন

শেয়ার
মানববন্ধন
শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে তামাকবিরোধী সংগঠন। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগী

শেয়ার
ডেঙ্গু রোগী
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতালে। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নৌ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে নৌবাহিনী প্রধান এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কনটেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া তিনি এনসিটিতে কর্মরত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও সদস্যদের এবং বন্দরের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের এমডিসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর আরো জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এনসিটির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান ।

সঠিকভাবে বন্দর পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন নিশ্চিত করা হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া গতিশীল হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাবি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, সাদা-নীল ভাগাভাগি, এই ক্যাম্পাসে হবে না, ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের চামচারা, হুঁশিয়ার সাবধান, গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান, ঢাবি ক্লাবে হবে না, দালালদের ঠিকানা ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এর সঙ্গে সাদা দলের শিক্ষকরাও জড়িত। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঢাবি ক্লাব কমিটি বাতিল করে ক্লাব থেকে ফ্যাসিবাদী দোসরদের উত্খাতের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর না পেরোতেই ঢাবি ক্লাবে খুনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ঢাবি ক্লাবের ১৫ সদস্যের কমিটির সাতজনই নীল দলের সদস্য, যা সাদা দলের শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।

যারা খুনি হাসিনাকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করে ফ্যাসিবাদী হতে সাহায্য করেছে, তাদের সাদা দল পুনর্বাসন করে জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর পেছনে কী স্বার্থ জড়িত, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাই আমরা।

অন্য শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছিলেন নীল দলের শিক্ষকরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরও নীল দলের শিক্ষকরা ঢাবি ক্লাবে বিপ্লব বেহাত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

এখন সাদা দলের মদদে এসব ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে ঢাবি ক্লাবের কমিটিতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ