মানুষের জীবনে কঠিনতম কাজের একটি হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ। যদিও সাফল্যের অন্যতম প্রধান চাবি এটি। ব্যর্থদের কাছে অধরা আর সফলদের জন্য বহু চর্চায় লালিত ও অর্জিত এ গুণ অর্জনের ১০টি পথ জানানো হলো এই লেখায়।
১. নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন : ব্যর্থ হলে নিজেকে শত অভিযোগের তীরে বিদ্ধ করেন না এমন মানুষ মেলা ভার।
আমরা ভুলে যাই, ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবি। ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হয়। কাজেই নিজেকে দায়ী না করে ব্যর্থ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে হবে। নিজেকে ক্ষমা করে তাকাতে হবে সামনে।
২. না বলতে হবে : না বলা একই সঙ্গে একটি শিল্প ও সক্ষমতা। সব কিছু নিজে করতে যাবেন না। কাজ নেওয়ার আগে নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা বুঝুন।
৩. সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা নয় : নিজের সেরাটি দিন; তবে শ্রেষ্ঠ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে নয়।
কাজটি সুসম্পন্ন করুন। কারণ ভালোর কোনো শেষ নেই। কাজে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ আনার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকলে গোটা বিষয়টিই ভেস্তে যেতে পারে।
৪. সমাধানে মনোযোগ : যে সংকট সামনে আসবে তার সমাধানে মনোযোগী হতে হবে। সমস্যা এড়ানোর জন্য অজুহাত খোঁজা নয়।
৫. যদির কথা নদীতে : কী হলে কী হতে পারত- এ ভাবনায় সময় অপচয় করা যাবে না। 'যদির' আশঙ্কায় হাত গুটিয়ে বসে থাকা নয়। বরং তা স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে সামনে এগোতে হবে।
৬. ইতিবাচক ভাবনা : নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে ঝেটিয়ে বের করে ভালো কিছু ভাবুন, করুন।
৭. খাওয়া : খাওয়া-দাওয়া করতে হবে সময়মতো পরিমিত। কাজের উত্তেজনায় নাওয়া-খাওয়া বাদ দিলে সক্ষমতা কমবে, কাজের গুণগত মান নেমে যাবে।
৮. ঘুম : রাতের ঘুম নষ্ট হওয়া মানে পরের দিনে কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া। কাজেই চাপ বাড়লে রাত না জেগে ভোরে ওঠার চেষ্টা করা উচিত।
৯. ব্যায়াম : ব্যায়ামে শরীরের সক্ষমতা বাড়ে, পরিশ্রমে স্ফুর্তি জোগায়। নিয়মিত চর্চা অপরিহার্য।
১০. মেডিটেশন : ধ্যানে বাড়ে ধৈর্য। কথা পুরনো তবে কার্যকারিতা অম্লান।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।