ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষাঙ্গনে মাদকের বিস্তার রোধ করুন

শেয়ার
শিক্ষাঙ্গনে মাদকের বিস্তার রোধ করুন

বর্তমানে বাংলাদেশে মাদক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের ভয়াবহ প্রসার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই ছাত্রাবস্থায়ই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে।

এ ছাড়া মাদকের টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সামাজিকভাবেও একঘরে হয়ে যায় মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এতে সে আরো বিপথে চলে যায়।

দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদকসেবীদের জন্য নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ জায়গায় স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠে এমন চক্র। যেখানে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, স্থানীয়রাও জড়িয়ে পড়ছে। মাদকসেবীদের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এই সমস্যা মোকাবেলায় শুধু আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়। পরিবারের নজরদারি প্রয়োজন। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সঙ্গে মিশে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনমূলক ক্লাস, মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।
মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন, দেয়ালিকা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় কোনো অপরাধীই যেন ছাড় না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হারিয়ে যাবে অতল গহ্বরে। তাই এখনই আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে।

তানভীর রহমান

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মাদকাসক্তি : জাতির জন্য এক ভয়ংকর বিপদ

শেয়ার
মাদকাসক্তি : জাতির জন্য এক ভয়ংকর বিপদ

মাদকাসক্তির সূচনাপথ হিসেবে ধরা হয় ধূমপানকে। অসৎ বন্ধুদের প্ররোচনায় কিংবা কৌতূহলবশত অনেকে ধূমপানে জড়িয়ে পড়ে, যা ধীরে ধীরে আরো ভয়াবহ মাদকের দিকে ধাবিত করে। আজকাল অনেক নাটক-সিনেমা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধূমপানকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করায় তরুণদের মাঝে এর প্রভাব আরো বাড়ছে।

মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ার আরো কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা, অসৎ বন্ধুর প্রভাব, বেকারত্ব, পারিবারিক ও সামাজিক অশান্তি ইত্যাদি।

প্রথম দিকে মাদক গ্রহণে সাময়িক শান্তি অনুভব হলেও পরবর্তী সময়ে দেখা দেয় মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। অবস্থায় আমাদের সবারই দায়িত্ব, এখনই সচেতন হওয়া। না হলে আজকের প্রজন্ম অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে

মাদকাসক্তি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিশু-কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে, জানাতে হবে মাদক গ্রহণের ভয়াবহ পরিণতি। পাশাপাশি অসৎসঙ্গ পরিহার এবং মাদকের সহজলভ্যতা বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।
তবেই গড়ে উঠবে মাদকমুক্ত একটি প্রজন্ম, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।

মো. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ

শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর

 

মন্তব্য

নান্দাইলে রাস্তার করুণ অবস্থা

শেয়ার
নান্দাইলে রাস্তার করুণ অবস্থা

বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়ন নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাকচান্দা থেকে নান্দাইল উপজেলায় যেতে একটিমাত্র সড়ক দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষকে চলাচল করতে হয়। বাকচান্দা, মহাবৈ, উদং মধুপুর, আচারগাঁও, জামতলাসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের একমাত্র পথ এটি। এমনকি এই রাস্তা দিয়েই নান্দাইল-ঢাকাগামী জলসিঁড়ি বাস চলাচল করে।

চাকরিজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষার্থীদেরও তাদের গন্তব্যে যেতে এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। ছাড়া দৈনন্দিন কাজসহ এলাকার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর জন্য বাজারমুখী হতে হয়। তাই এই রাস্তাটি সাধারণ মানুষের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ৯ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এই রাস্তাটির করুণ অবস্থা।
গর্তে ভরপুর, বৃষ্টিতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। নান্দাইল যেতে প্রতিনিয়ত পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। রাস্তার অত্যন্ত বাজে অবস্থার জন্য কর্মজীবী মানুষ যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অন্যদিকে গর্ভবতী মহিলাদের এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

উপরোক্ত সার্বিক দিক বিবেচনায় স্থানীয় মানুষের পক্ষ হয়ে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি এবং শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

হাসিবুল হাসান ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ, কিশোরগঞ্জ

 

মন্তব্য

লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

শেয়ার
লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

লোকাল বাস ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। ঢাকায় যাতায়াতকারী  বেশির ভাগ মানুষই চলাচলে লোকাল বাস ব্যবহার করে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যাতায়াত করার জন্য লোকাল বাস আমাদের জন্য একটি আস্থার জায়গা। সেই আস্থার জায়গা দিন দিন চরম অনাস্থা ও অস্বস্তিতে রূপ লাভ করেছে।

অতিরিক্ত ভাড়া, নিরাপত্তাহীনতা এবং খারাপ আচরণ এর প্রধান কারণ।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে গেলেই হেলপার/সুপারভাইজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা পূর্ণ ভাড়া দাবি করে আসছে দিনের পর দিন।

এই ভাড়ার ইস্যুতে অনেক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দেওয়াসহ শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এটি ক্রমেই অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ভাড়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে। তারা দিনের পর দিন অসহ্য যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে।
এর শেষ কোথায়?

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার তথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসব অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

তাহের নয়ন

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

শেয়ার
ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী এখন সরু খালের মতো। এর পরও নদীটির ভাঙনে মানুষ ভিটামাটি হারাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীটির ভাঙনের শিকার হয়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।

কিন্তু পদ্মা নদী থেকে চোরা বালু শিকারিরা দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে বড় মেঘনা নদী দিয়ে না এসে এই ইছামতী নামের সরু নদীটিই বেছে নিয়েছে। দিনে ও রাতে শত শত বালুবাহী বাল্কহেডের ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীর ভেঙেই চলেছে। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকাবাসী তাদের বাড়িঘর রক্ষার্থে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে নদীর পারে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

এই নৈরাজ্য কি দেখার কেউ নেই? ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে? আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক।

 

হাজি মো. রাসেল ভূইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ