ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

উত্তরবঙ্গে বন্যা

শেয়ার
উত্তরবঙ্গে বন্যা

নদী বয়ে চলে উজান থেকে ভাটির দিকে। প্রাকৃতিক এই নিয়মকে রাজনৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে বাংলাদেশের উজানের দেশ ভারত। শুধু নৈতিকভাবে নয়, আন্তর্জাতিক সব বিধি-বিধানকেও তোয়াক্কা করছে না তারা। একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীকে আন্তর্জাতিক নদী বলা হয়ে থাকে।

সেই বিবেচনায় ভারত থেকে বয়ে আসা ৫৪টি নদীই আন্তর্জাতিক নদী। কিন্তু ভারত সেগুলোর ওপর এক বা একাধিক বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর মরণদশা হয়। আর বর্ষায় উজানের পানিতে নদীর তীরে বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ।

তিস্তাপারের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ শেষ হবে কবে? কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী বা সিলেটের বন্যা মানুষের মনে সাড়া জাগাতে পারলেও পারেনি রংপুরের লালমনিরহাটের বন্যার্তদের আর্তনাদ। উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে কবে? উত্তরবঙ্গের বাঁচা-মরা দেখার কেউ নেই! নাকি উত্তরের মানুষ খেটে খায় এ জন্যই অবজ্ঞা।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা কি কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? তিস্তা নদী সুরক্ষায় অবিলম্বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করতে হবে।

বন্যা এবং নদীভাঙনের শিকার ভূমি-গৃহহীন ও মৎস্যজীবী মানুষের পুনর্বাসন, তিস্তাপারের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

 

মো. আনোয়ার হোসেন

শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

শেয়ার
লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

লোকাল বাস ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। ঢাকায় যাতায়াতকারী  বেশির ভাগ মানুষই চলাচলে লোকাল বাস ব্যবহার করে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যাতায়াত করার জন্য লোকাল বাস আমাদের জন্য একটি আস্থার জায়গা। সেই আস্থার জায়গা দিন দিন চরম অনাস্থা ও অস্বস্তিতে রূপ লাভ করেছে।

অতিরিক্ত ভাড়া, নিরাপত্তাহীনতা এবং খারাপ আচরণ এর প্রধান কারণ।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে গেলেই হেলপার/সুপারভাইজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা পূর্ণ ভাড়া দাবি করে আসছে দিনের পর দিন।

এই ভাড়ার ইস্যুতে অনেক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দেওয়াসহ শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এটি ক্রমেই অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ভাড়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে। তারা দিনের পর দিন অসহ্য যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে।
এর শেষ কোথায়?

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার তথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসব অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

তাহের নয়ন

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

শেয়ার
ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী এখন সরু খালের মতো। এর পরও নদীটির ভাঙনে মানুষ ভিটামাটি হারাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীটির ভাঙনের শিকার হয়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।

কিন্তু পদ্মা নদী থেকে চোরা বালু শিকারিরা দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে বড় মেঘনা নদী দিয়ে না এসে এই ইছামতী নামের সরু নদীটিই বেছে নিয়েছে। দিনে ও রাতে শত শত বালুবাহী বাল্কহেডের ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীর ভেঙেই চলেছে। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকাবাসী তাদের বাড়িঘর রক্ষার্থে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে নদীর পারে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

এই নৈরাজ্য কি দেখার কেউ নেই? ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে? আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক।

 

হাজি মো. রাসেল ভূইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

মন্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

শেয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ার জটিলতা। বিশেষ করে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ভয়াবহ মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাস, প্রশ্নপদ্ধতি ও সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। কখনো কখনো এক দিনের ব্যবধানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় সব কটিতে অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে প্রতিটি আবেদনেই ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি গুনতে হয়, যাতায়াত ও থাকার খরচ যুক্ত হলে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী শুধু অর্থের অভাবে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না।

গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও তা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সমন্বিত পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সমতা আনার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়াকে সহজ ও সমন্বিত করাই এখন সময়ের দাবি।

হাসনাইন মাবরুর

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ

মন্তব্য

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

শেয়ার
জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে  প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।

ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ অবকাঠামো নেই বললেই চলে। ইটের সোলিং করা রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত হয়ে গেছে, যেখানে সহজেই পানি জমে থাকে। সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে রয়েছে। আশপাশের এলাকার পানি নামলেও ক্যাম্পাসে সঠিক নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় এখানকার পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে।
জলাবদ্ধতার তীব্রতায় কেউ কেউ বাধ্য হন জুতা হাতে, প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে।

ফখরুল ইসলাম ফাহাদ

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ