নদী বয়ে চলে উজান থেকে ভাটির দিকে। প্রাকৃতিক এই নিয়মকে রাজনৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে বাংলাদেশের উজানের দেশ ভারত। শুধু নৈতিকভাবে নয়, আন্তর্জাতিক সব বিধি-বিধানকেও তোয়াক্কা করছে না তারা। একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীকে আন্তর্জাতিক নদী বলা হয়ে থাকে।
উত্তরবঙ্গে বন্যা

উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর মরণদশা হয়। আর বর্ষায় উজানের পানিতে নদীর তীরে বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা কি কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? তিস্তা নদী সুরক্ষায় অবিলম্বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করতে হবে।
মো. আনোয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
সম্পর্কিত খবর

লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

লোকাল বাস ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। ঢাকায় যাতায়াতকারী বেশির ভাগ মানুষই চলাচলে লোকাল বাস ব্যবহার করে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যাতায়াত করার জন্য লোকাল বাস আমাদের জন্য একটি আস্থার জায়গা। সেই আস্থার জায়গা দিন দিন চরম অনাস্থা ও অস্বস্তিতে রূপ লাভ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে গেলেই হেলপার/সুপারভাইজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা পূর্ণ ভাড়া দাবি করে আসছে দিনের পর দিন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার তথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসব অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।
তাহের নয়ন
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ

ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী এখন সরু খালের মতো। এর পরও নদীটির ভাঙনে মানুষ ভিটামাটি হারাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীটির ভাঙনের শিকার হয়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।
এই নৈরাজ্য কি দেখার কেউ নেই? ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে? আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
হাজি মো. রাসেল ভূইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ার জটিলতা। বিশেষ করে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ভয়াবহ মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাস, প্রশ্নপদ্ধতি ও সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। কখনো কখনো এক দিনের ব্যবধানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় সব কটিতে অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে প্রতিটি আবেদনেই ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি গুনতে হয়, যাতায়াত ও থাকার খরচ যুক্ত হলে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী শুধু অর্থের অভাবে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না।
গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও তা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সমন্বিত পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সমতা আনার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়াকে সহজ ও সমন্বিত করাই এখন সময়ের দাবি।
হাসনাইন মাবরুর
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।
ফখরুল ইসলাম ফাহাদ
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়