প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব একটি প্রকল্প কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং তৃণমূলে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গ্রহণ করেন। এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে সারা দেশে ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয় এবং আট হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়। সরকার পরিবর্তন হলে মাঝখানে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকে।
কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবা দিচ্ছেন কোন চিকিৎসক? বাস্তবতা হচ্ছে, এই কোটি কোটি টাকার প্রকল্পে সেবা দিচ্ছেন এইচএসসি বা সমমান যেকোনো বিভাগের ছাত্ররা। তাঁদের পদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার’। তাঁদের মাত্র তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে এখানে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিন মাসের একটি সাধারণ কোর্সেই একজন পেয়ে যাচ্ছেন ড্রাগ লেখার লাইসেন্স! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে।
এভাবে চলতে থাকলে এই মেগাপ্রকল্পটি অতি দ্রুতই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এখানে সত্যিকারের চিকিৎসকদেরই নিয়োগ দিতে হবে। প্রশ্ন উঠতে পারে, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের তো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ঠিকমতো খুঁজে পাওয়া যায় না। কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ দিলে তাঁদের কি খুঁজে পাওয়া যাবে?
বিকল্প সমাধান হতে পারে ডিপ্লোমা চিকিৎসক, যাঁদের ডিএমএফ ডিগ্রি অর্জন করতে মেডিক্যালের ১৪টি বিষয়ের ওপর তিন বছরের তাত্ত্বিক এবং এক বছরের ইন্টার্নশিপসহ মোট চার বছরের কোর্স করতে হয়। ডিগ্রি শেষে তাঁদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে বৈধ চিকিৎসক হিসেবে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস, বিডিএস এবং ডিএমএফ ডিগ্রিধারীদেরই দেওয়া হয়। বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক বেকার। এ অবস্থায় ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের এই প্রকল্পে ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের অনেক উন্নতি হবে।
তরিকুল ইসলাম শান্ত
নিঝুমদ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী
সম্পর্কিত খবর

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ার জটিলতা। বিশেষ করে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ভয়াবহ মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাস, প্রশ্নপদ্ধতি ও সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। কখনো কখনো এক দিনের ব্যবধানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় সব কটিতে অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে প্রতিটি আবেদনেই ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি গুনতে হয়, যাতায়াত ও থাকার খরচ যুক্ত হলে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী শুধু অর্থের অভাবে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না।
গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও তা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সমন্বিত পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সমতা আনার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়াকে সহজ ও সমন্বিত করাই এখন সময়ের দাবি।
হাসনাইন মাবরুর
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।
ফখরুল ইসলাম ফাহাদ
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দুই গ্রাম খরনদ্বীপ ও চরনদ্বীপ। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব করে আসছিল প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন কেরানি বাজার সেতু। পুরনো এ সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের জন্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সাবের আহমদ রিজভী
চরনদ্বীপ, বোয়ালখালী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।
মো. জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া