জুয়াড়িদের এখন আর নির্জন জায়গায় কিংবা ঘরের ভেতরে কপাট বন্ধ করে জুয়া খেলতে হয় না। এখন প্রকাশ্য জুয়া খেলা চলে হরহামেশা। জুয়ার আসরগুলোর মধ্যে একটা বড় জায়গা হয়ে উঠেছে সেলুন। সরাসরি সম্প্রচারকৃত ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়াড়িরা চুল কাটার নামে সেলুনগুলোতে গড়ে তুলেছে জুয়ার আসর। ক্রিকেট খেলায় তারা প্রতি ম্যাচে, প্রতি ওভারে, এমনকি প্রতি বলে বাজি ধরে হাজার হাজার টাকা। এভাবে প্রতিনিয়ত জুয়া খেলার টাকা সংগ্রহ করতে অনেকে যুক্ত হচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে। ফলে পরিবারে অশান্তি বাড়ছে। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কম বয়সী কিশোররাও জুয়া খেলায় ঝুঁকছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সমাজের চেয়ে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ধীরে ধীরে একটি বড় সামাজিক সংকটের রূপ ধারণ করার আগে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাজেদুল ইসলাম মাজেদ
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ, ঠাকুরগাঁও।
মন্তব্য