মাদকাসক্তির সূচনাপথ হিসেবে ধরা হয় ধূমপানকে। অসৎ বন্ধুদের প্ররোচনায় কিংবা কৌতূহলবশত অনেকে ধূমপানে জড়িয়ে পড়ে, যা ধীরে ধীরে আরো ভয়াবহ মাদকের দিকে ধাবিত করে। আজকাল অনেক নাটক-সিনেমা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধূমপানকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করায় তরুণদের মাঝে এর প্রভাব আরো বাড়ছে।
মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ার আরো কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা, অসৎ বন্ধুর প্রভাব, বেকারত্ব, পারিবারিক ও সামাজিক অশান্তি ইত্যাদি।
প্রথম দিকে মাদক গ্রহণে সাময়িক শান্তি অনুভব হলেও পরবর্তী সময়ে দেখা দেয় মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। এ অবস্থায় আমাদের সবারই দায়িত্ব, এখনই সচেতন হওয়া। না হলে আজকের প্রজন্ম অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে ।
মাদকাসক্তি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিশু-কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে, জানাতে হবে মাদক গ্রহণের ভয়াবহ পরিণতি। পাশাপাশি অসৎসঙ্গ পরিহার এবং মাদকের সহজলভ্যতা বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। তবেই গড়ে উঠবে মাদকমুক্ত একটি প্রজন্ম, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
মো. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর