ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ সফর ১৪৪৭

বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন কোনটি

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
 বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন কোনটি

বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যভাণ্ডারে ঈশ্বরদীকে বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। সাধারণ জ্ঞানের বই এবং বিভিন্ন অনলাইন সাইটে একই তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এই তথ্য ভুল। তথ্যটি রেল কর্তৃপক্ষ কেন হালনাগাদ করছে না, ভেবে বিস্মিত হই।

সঠিক তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন পার্বতীপুর। পার্বতীপুর চার লাইনের রেলওয়ে জংশন, অন্যদিকে ঈশ্বরদী তিন লাইনের রেলওয়ে জংশন। ব্রড গেজ ও মিটার গেজের হিসাবে ঈশ্বরদী তিন লাইনের ব্রড গেজ। পার্বতীপুর দুই লাইনের ব্রড গেজ ও দুই লাইনের মিটার গেজ।
এ হিসাবে হয়তো ঈশ্বরদীকে বৃহত্তম বলা হয়েছে কাগজে-কলমে। সম্প্রতি পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখন পার্বতীপুর জংশন তিন লাইনের ব্রড গেজ ও এক লাইনের মিটার গেজ। ঈশ্বরদী ও পার্বতীপুর দুটিই তিন লাইনের ব্রড গেজ রেলপথ।
এ ছাড়া পার্বতীপুরের রয়েছে এক লাইনের মিটার গেজ, যা ঈশ্বরদীর নেই। পার্বতীপুর চার লাইনের রেলওয়ে জংশন এবং বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করার আবেদন জানাই।

মাহতাব হোসেন

পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন

শেয়ার
রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন

গ্রন্থাগার একটি অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যা একটি দেশের মনন ও অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি। সময়ের বিবর্তনে গন্থাগার ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। এই অত্যাধুনিক যুগে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে গ্রন্থাগার হতে পারত জ্ঞান অন্বেষণ, ভাষা ও সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়াও ক্যারিয়ার গঠনের অন্যতম আঁতুড়াশ্রম। তবে দুঃখজনক বাংলাদেশের গ্রন্থাগারগুলো এখনো সনাতনী পদ্ধতির।

এমনকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারও এর ব্যতিক্রম নয়। সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া তেমন কোনো সংযোজন নেই বললেই চলে।

সাম্প্রতিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে একটি করে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বই নিয়ে আসার সম্মতি দেন। এতে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় এবং অনেক শিক্ষার্থীই বই সঙ্গে করে নিয়ে আসেন পড়ার জন্য।

ফলে পাঠকক্ষে তুলনামূলক ভিড় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। এসি অপ্রতুল ও নষ্ট থাকায় স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু স্ট্যান্ড ফ্যানের বিকট শব্দ পাঠকের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায়।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফ্যানের দখল বা ফ্যানের কাছাকাছি আসন দখল করার প্রবণতাও লক্ষ করা যায়, যা পাঠকদের ভোগান্তি সৃষ্টি করে। অতএব উক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার উন্নতকরণের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বসুদেব রায়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

ফুটপাতকে পথচারীর কাছে ফিরিয়ে দিন

শেয়ার
ফুটপাতকে পথচারীর কাছে ফিরিয়ে দিন

সায়েন্স ল্যাব থেকে শুরু করে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত সড়কে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ, গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং নিউমার্কেট ও গাউসিয়ার মতো মার্কেট। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অফিস তো রয়েছেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যানজটও বৃদ্ধি পেতে থাকে। যানবাহনের গতি কচ্ছপের চেয়ে শ্লথ হয়ে আসে।

অন্যদিকে পথচারীদের জন্য ফুটপাতে টাইলস বসানো হলেও সেটির বেশির ভাগই থাকে হকারদের দখলে। বেশ কিছু অংশে অবশ্য হকার ও তাদের পসরা না থাকলেও পথচারীরা সেসব অংশ দিয়েও চলাচল করতে পারে না। কারণ টাইলস ভেঙে পথটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। বৃষ্টি হলেই ফুটপাতে কাদা জমে।
অভিযোগ রয়েছে, ফুটপাত দখল করে থাকা হকারদের কাছ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন তো বটেই, পুলিশও মাসোহারা পায়। সিটি করপোরেশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এর দায় এড়াতে পারে না। মার্কেট কর্তৃপক্ষেরও ভূমিকা থাকার কথা। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, আপনারা ফুটপাতকে পথচারীর পায়ের কাছে ফিরিয়ে দিন।
বিভিন্ন পরিচয়ে ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকান ও চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। যত্রতত্র পার্কিংও বন্ধ করতে হবে। নীলক্ষেত বই মার্কেটের পেছনের মাঠে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

মো. মাহিন ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

রোজ গার্ডেন ঘিরে জনগণের দুর্ভোগ

শেয়ার
রোজ গার্ডেন ঘিরে জনগণের দুর্ভোগ

ঢাকার টিকাটুলীতে অবস্থিত রোজ গার্ডেন জাতীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। বর্তমানে এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সম্প্রতি এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু রোজ গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তায় সংস্কারকাজ শুরু হওয়ায় যাতায়াতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

অন্যদিকে সদ্য পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা রোজ গার্ডেন দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

সাধারণ জনগণের প্রবেশ এবং এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করতে হবে। এ ছাড়া রোজ গার্ডেনের দর্শনার্থীদের জন্য তথ্যকেন্দ্র, বসার স্থান, স্যানিটেশন, পার্কিং ব্যবস্থা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের স্থানটিকে উন্মুক্ত করার আগে উচিত ছিল এ বিষয়ে নজর দেওয়া।

বর্তমানে দর্শনার্থী ও স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। প্রয়োজনে সড়ক সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রোজ গার্ডেনে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা যেতে পারে। রোজ গার্ডেনে আগত দর্শনার্থী ও স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবের কথা চিন্তা করতে হবে, যেন স্থানটি ইতিহাসের গৌরব ধরে রাখার পাশাপাশি জনগণের জন্য স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠতে পারে।

নুসরাত জাহান স্মরনীকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মন্তব্য

কবে দূর হবে ঢাকা কলেজের আবাসন সংকট?

শেয়ার
কবে দূর হবে ঢাকা কলেজের আবাসন সংকট?

ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনের এক উজ্জ্বল নাম। ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অসংখ্য মেধাবী নাগরিক তৈরি করেছে, যাঁরা দেশের নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। কিন্তু এই গৌরবের আড়ালে একটি দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যা শিক্ষার্থীদের ভোগাচ্ছে, সেটি হলো আবাসন সংকট। ঢাকা কলেজে দেশের প্রায় সব জেলা থেকে শিক্ষার্থী আসে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ থেকে ২২ হাজার হলেও আবাসিক আসন রয়েছে মাত্র এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য। ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাধ্য হচ্ছে কলেজের বাইরে উচ্চ ভাড়ার বাসায় বা অনুপযুক্ত পরিবেশে থাকতে। অনেকের জন্য এটি শুধু আর্থিক বোঝাই নয়, বরং শিক্ষাজীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। বাইরে ভাড়া বাসায় থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় নষ্ট হয়, পরিবহন খরচ ও ঝুঁকি বাড়ে এবং অনেকে নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়।
বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে এই সংকটের সমাধানে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ১. নতুন বহুতল হল নির্মাণ : অল্প জায়গায় বেশি শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা। ২. বিদ্যমান হল সংস্কার : অব্যবহৃত বা জরাজীর্ণ অংশ মেরামত করে আসনসংখ্যা বাড়ানো।
৩. বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা : নিকটবর্তী সরকারি বা বেসরকারি ভবন ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী হল হিসেবে ব্যবহার। ৪. ভাড়া সহায়তা : বাইরে বাসা নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি স্টাইপেন্ড বা ভর্তুকি। ৫. ডিজিটাল আসন বরাদ্দ : স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে হল বরাদ্দ নিশ্চিত করা। প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত অবিলম্বে এই সংকট সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। আবাসন শুধু একটি সুবিধা নয়, এটি শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার।
ঢাকা কলেজের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট সমাধান না হলে শিক্ষার মান ও পরিবেশ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মো. ফয়সাল হোসেন

ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ