ঢাকা, শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ সফর ১৪৪৭

শাহজালাল সার কারখানায় হাজার কোটি টাকার গলদ

এম আর মাসফি
এম আর মাসফি
শেয়ার
শাহজালাল সার কারখানায় হাজার কোটি টাকার গলদ

প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচে নির্মিত হলেও বছরের পর বছর বন্ধ থেকেছে শাহজালাল সার কারখানা। কখনো গ্যাস নেই, কখনো যন্ত্রপাতির ত্রুটি, আবার কখনো কোনো কারণই জানে না কর্তৃপক্ষ। ব্যয়ের পাহাড় গড়ে তোলা এই মেগাকারখানাটি বাস্তবে যেন এক মেগাব্যর্থতার নাম। এক হাজার দিনের বেশি সময় বন্ধ ছিল এই কারখানার উৎপাদন, অথচ কাগজে সব ঠিক! তদারকি নেই, প্রযুক্তি বাছাইয়ে গাফিলতি, গ্যাস সরবরাহে চরম নির্ভরতা এবং অপরিকল্পিত যন্ত্রপাতির ব্যবহারসব মিলিয়ে দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল প্রকল্পটি এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রের ঘাড়ে।

সম্প্রতি ১০ বছর আগে শেষ হওয়া এই প্রকল্পটির প্রভাব মূল্যায়ন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিয়োগ করা  প্রতিষ্ঠান তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা; যা দফায় দফায় যাচাই করে চূড়ান্ত করেছে আইএমইডি।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল) নামে নির্মিত দেশের সবচেয়ে আধুনিক সার কারখানার জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ, পরামর্শক ও প্রশিক্ষণ মিলিয়ে প্রকল্পটিকে ঘিরে ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষা। কিন্তু বাস্তব চিত্র হলো, ২০১৫ সালে উদ্বোধনের পর থেকে গত কয়েক বছরে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এক হাজার সাত দিন বন্ধ ছিল।

এর মধ্যে শুধু গ্যাসসংকটে বন্ধ ছিল ৩২০ দিন!

এই বন্ধের পেছনে উঠে এসেছে নানা অসংগতি। শুরুতেই দেখা যায়, কারখানার জন্য চীনের প্রযুক্তিনির্ভর গ্যাস টারবাইন সিস্টেম চালু করা হলেও বিসিআইসির কর্মীদের এ বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। ফলে অপারেটিং সিস্টেমে ঘন ঘন ট্রিপ হয়, যার কারণে পুরো উৎপাদন লাইন থেমে যায়। গ্যাস টারবাইনের বিকল্প হিসেবে স্টিম টারবাইন ব্যবহার করা হলে এমন সমস্যার ঝুঁকি থাকত না, কারণ বিসিআইসির অন্যান্য কারখানার জনবল এ প্রযুক্তিতে দক্ষ।

একই ধরনের ভুল দেখা যায় যন্ত্রাংশ নির্বাচনেও। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও নির্মাতার মেশিনারি, কন্ট্রোল সিস্টেম ও সফটওয়্যার ব্যবহারে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ও জটিলতা বহুগুণ বেড়েছে। একটি যন্ত্র বিকল হলে সেটির জন্য দরপত্র ডাকা, আমদানি অনুমোদন নেওয়া, ডলার সংস্থান করাসব মিলিয়ে দিন, সপ্তাহ এমনকি মাসও চলে যায়, ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে থাকে।

শুধু প্রযুক্তিগত নয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনায়ও ছিল চরম দুর্বলতা। যেমনকারখানার জেটি নির্মাণে ৭৬ কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদান করা হলেও পরে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি না থাকায় গ্যাংওয়ে ও পন্টুন নির্মাণ করা যাবে না।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে প্রায় সাত কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত জেটিটি কার্যকরভাবে ব্যবহার শুরু হয়নি। অর্থাৎ জেটির টাকা মূলত পানিতে গেছে।

এদিকে কারখানার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়েও বড় ধরনের গাফিলতি ধরা পড়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ক্যাথোডিক প্রটেকশন না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় লিকেজ দেখা দেয়। এর ফলে একদিকে যেমন পানি অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে কেমিক্যাল মিশ্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানি বিশুদ্ধকরণ ব্যাহত হচ্ছে এবং উৎপাদনে ফাউলিং হচ্ছে।

একইভাবে বয়লার সিস্টেমেও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। কারখানার উৎপাদন সচল রাখতে ঘণ্টায় ১৫০ টন স্টিম প্রয়োজন হলেও দুটি বয়লারে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তিনটি বয়লার স্থাপন করা হলে এই সমস্যা হতো না। বর্তমানে একটিতে সমস্যা দেখা দিলে পুরো প্লান্ট থেমে যেতে পারে। এমনকি ইউরিয়া তৈরি না হলে পুরো উৎপাদন বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায় প্রতিদিনই।

কারখানার তিনটি ইউনিট, অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া ও ইউটিলিটি ইউনিট তিনটি ভিন্ন ভিন্ন কন্ট্রোলরুম থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এতে ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়, যা অপারেশন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। অথচ একটি সমন্বিত কন্ট্রোলরুম থাকলে খরচ ও জটিলতা কমত।

যন্ত্রাংশের পাশাপাশি সফটওয়্যারেও আছে বিভ্রান্তি। ডিএসসি, পিএলসি, উডওয়ার্ড কন্ট্রোলার, ডিজিটাল হাইড্রোলিক সিস্টেমসহ একাধিক নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম ব্যবহারে অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স জটিল হয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় একে অন্যের সঙ্গে কাজ করে না, যার ফলে ট্রিপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আরো বড় সমস্যা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়। কারখানার প্রয়োজন ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, কিন্তু পাওয়ার প্লান্টের সক্ষমতা সেই তুলনায় সীমিত। দুটি টার্বো জেনারেটর সব সময় চালু রাখতে হয়, যা খরচ বাড়ায়। একটু বেশি খরচ করেও যদি ৮০৩-২৪ ধরনের জেনারেটর স্থাপন করা হতো, তবে একটি রিজার্ভ রাখা যেত এবং দীর্ঘমেয়াদি অপারেশন নিরাপদ হতো।

প্রকল্পটির এই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এই প্রকল্পের পর্যবেক্ষণগুলো আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ হলে মিলবে না ভিসা

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ হলে মিলবে না ভিসা

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস বা কাজের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের এখন থেকে মার্কিনবিরোধী মনোভাব খতিয়ে দেখা হবে। ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাব থাকলেও তা আমেরিকাবিদ্বেষ ধরা হবে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেদনকারীর কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার বিষয়টিও রয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র এ ঘোষণা দিয়েছে।

এই কড়াকড়ি অভিবাসনবিষয়ক অধিকারকর্মী ও আইনজীবীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার (ইউএসসিআইএস) হালনাগাদ নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভিবাসন কর্মকর্তারা এখন আবেদনকারীদের আমেরিকাবিরোধী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা বা ইহুদিবিদ্বেষী কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পারবেন।

অভিবাসনের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম ট্রাম্প প্রশাসন গত জুনেই চালু করেছিল। এখন এটিকে আরো বিস্তৃত করে আমেরিকাবিরোধী কার্যকলাপের অনুসন্ধানের বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিমালা কঠোর করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ পদক্ষেপ। তবে হালনাগাদ নীতিমালায় আমেরিকাবিরোধী মনোভাবের কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, এর মধ্যে তারাই অন্তর্ভুক্ত, যারা ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ইহুদিবিদ্বেষী মতাদর্শ সমর্থন করে। এটা তাৎক্ষণিকভাবে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

অনলাইন ফোরামগুলোতে বিতর্ক শুরু হয়েছে, ঠিক কোন বিষয়টি আমেরিকাবিরোধী হিসেবে গণ্য হবে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অস্পষ্ট শব্দচয়ন এবং সুস্পষ্ট সংজ্ঞা না থাকায় বাস্তবে হুমকি থাকুক বা না থাকুক, অভিবাসন কর্মকর্তারা অভিবাসনের বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার ক্ষমতা পাবেন।

অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ ফেলো অ্যারন রেইচলিন-মেলনিক এক্সে এক পোস্টে লেখেন, অভিবাসন আইনে পরিভাষাটি ব্যবহারের কোনো পূর্বনজির নেই এবং এর সংজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ম্যাকার্থিজমের কথা মনে করিয়ে দেয়, ১৯৫০-এর দশকের সেই সময়কাল রেড স্কেয়ার নামেও পরিচিত। ওই সময় কমিউনিজম এবং আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এর প্রভাব নিয়ে জনমনে আতঙ্কের সুযোগে বামপন্থীদের বিচারের মুখোমুখি করত সরকার।

 

মন্তব্য

উক্তি

শেয়ার
উক্তি

চাল শুধু মানুষেই খায়, তা কিন্তু না। গরু-ছাগলও খায়। আমাদের গরু-ছাগল পালতে হয়। হাঁস-মুরগি খায়, মাছে খায়, অনেকেই খায়।

আলী ইমাম মজুমদার

খাদ্য উপদেষ্টা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নকলায় এনসিপির সমন্বয় কমিটি থেকে ১৫ জনের পদত্যাগ

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
নকলায় এনসিপির সমন্বয় কমিটি থেকে ১৫ জনের পদত্যাগ

শেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩২ সদস্যের নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে একযোগে ১৫ জন পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্রে তাঁরা নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটি প্রত্যাখ্যানও করেছেন। কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক/সদস্যসচিব বরাবর তাঁরা আলাদাভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে পাঁচ যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১০ জন সদস্য রয়েছেন। পাঁচ যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন। আর ১০ জন সদস্য হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম শান্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নকলা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশ একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য লোক।

এ প্রেক্ষাপটে আত্মবিশ্লেষণমূলক চিন্তা-ভাবনা শেষে আমরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা সমন্বয় কমিটির নিজ নিজ পদ থেকে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার আমরা একযোগে পদত্যাগ করার পাশাপাশি নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পদত্যাগের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. মমিনুল ইসলাম আরব বলেন, আমরা পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১০ জন সদস্য পদত্যাগ করেছি।

আমাদের পদত্যাগের মূল কারণ হলো প্রধান সমন্বয়কারী একজন অযোগ্য ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও আহামরি কিছু নয়। এসব গুরুতর অভিযোগের কারণেই আমরা পদত্যাগ করেছি।

মন্তব্য
জামায়াতের নায়েবে আমির

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে যান জামায়াতের নায়েবে আমির। তবে এর আগেই মির্জা ফখরুল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরে যান।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাংবাদিকদের বলেন, ডাক্তারদের কাছ থেকে জেনেছি, তিনি (মির্জা ফখরুল) এখন ভালো আছেন। তাঁর মতো একজন ভদ্র, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের এই সময়ে সুস্থ থাকা জাতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা বাসায় গিয়েও তাঁর খোঁজ নেব।

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমরা বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আমাদের মধ্যে এখনো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মন্তব্য করলেও সেটা দলের অবস্থান নয়। স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন আছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, তবে তা যেন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমাদের নির্বাহী বৈঠকে জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর কিছু বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা আমাদের মতামত জানাব।  প্রসঙ্গত, হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে মঙ্গলবার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এন এ এম মোমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার উন্নতি হলে তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ