ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
রোগ-ব্যাধি

চট্টগ্রামে নগরে করোনা গ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ

  • করোনা রোগীর ৯০% নগরে
  • ডেঙ্গু রোগীর ৫৬% গ্রামাঞ্চলে
  • ৩ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৯%
  • করোনা ও ডেঙ্গুতে মৃত্যু গ্রামে বেশি
নূপুর দেব, চট্টগ্রাম
নূপুর দেব, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে নগরে করোনা গ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ

চট্টগ্রামে চলতি বছর গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু এবং মহানগর এলাকায় করোনা রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস দুই দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং গত প্রায় এক মাস (২৯ দিন) করোনার দৈনিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামে তিন মাস ধরে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। চলতি বছরের গত ছয় মাস দুই দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৯ জন।

এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সর্বশেষ তিন মাসে ৩২৫ জন আক্রান্ত হয়, যা গত ছয় মাস দুই দিনে আক্রান্ত মোট ডেঙ্গু রোগীর ৬৯ শতাংশ (তিন মাসে)। উপজেলাগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বেশি।

অন্যদিকে গত ৪ জুন প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৯ দিনে চট্টগ্রামে ১৬৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ নগরের বাসিন্দা।

অর্থাৎ চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম গ্রামাঞ্চলে (উপজেলা পর্যায়ে) ডেঙ্গু এবং মহানগর এলাকায় করোনা রোগী বেশি।

তবে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে যেভাবে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে, উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবেলায় তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকে জানায়। তারা বলছে, চট্টগ্রামে এখন তুলনামূলকভাবে করোনার চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে যে বৃষ্টি হচ্ছে, এতে ডেঙ্গুর বিস্তার অনেক বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমার বাড়ি বাঁশখালী। আমার মা-বাবা দুজনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এবার দেখা যাচ্ছে, গ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। নগরের চেয়ে বিভিন্ন উপজেলায় মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।

করোনার নমুনা পরীক্ষার কিট পাওয়া না গেলেও রোগীদের চিকিৎসার জন্য আগের মতো ফ্লু কর্নার চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে গত শনিবার থেকে নগরে তিন মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, নগর বিশেযজ্ঞ, বিভিন্ন সেবা সংস্থাসহ নানা শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি নিয়ে আমরা গত রবিবার একটি বৈঠক করেছি। করোনার জন্য একটি ডেডিকেটেড হাসপাতাল আছে। একই সঙ্গে চসিক হাসপাতালে বিনা মূল্যে করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতাল চালু করা হয়েছে।

গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) চত্বরে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা রোগের প্রকোপ না কমা পর্যন্ত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে তিনটি ভাইরাল রোগ মোকাবেলা করা। এর মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সিজনাল হলেও সঠিক প্রস্তুতি ও গণসচেতনতা ছাড়া ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার (৪ জুন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ২৯ দিন) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬৫ জন। এর মধ্যে নগরে ১৪৯ জন এবং বিভিন্ন উপজেলায় ১৬ জন। এই হিসাবে নগরে করোনায় সংক্রমিত রোগী ৯০ শতাংশ এবং জেলায় ১০ শতাংশ। এর মধ্যে একটি শিশু, ৮০ জন নারী এবং ৮৪ জন পুরুষ। করোনায় এ পর্যন্ত মারা যাওয়া সাতজনের (তিনজন পুরুষ এবং চারজন নারী) মধ্যে চারজন উপজেলার বাসিন্দা।

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬৯। প্রথম তিন মাসে আক্রান্ত হয়েছে ১২০ জন, যা মোট আক্রান্তের ২৬ শতাংশ। পরের তিন মাস দুই দিনে আক্রান্ত ৩৪৯ জন, যা মোট আক্রান্তের ৭৪ শতাংশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ