ন্যূনতম মাসিক বেতন এক হাজার ৫০০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা পুনর্বণ্টন করেছে সরকার। আগামী জুলাই থেকে এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে।
গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পৃথক প্রজ্ঞাপনে সামরিক ও বেসামরিক খাতের রাজস্বভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত এই বিশেষ সুবিধায় কাদের কত টাকা বাড়বে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রবিবার উপদেষ্টা পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনের পর সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যৌথ বাহিনী (জয়েন্ট সার্ভিস ইনস্ট্রাকশনের আওতাভুক্ত), জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা ন্যূনতম মাসিক এক হাজার টাকার পরিবর্তে এক হাজার ৫০০ টাকা হবে। পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মাসিক ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৭৫০ টাকা হবে।
পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যাঁরা মাসিক ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা হারে পাচ্ছিলেন তাঁদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে এবং যাঁরা এর নিচে পাচ্ছিলেন তাঁদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। আগামী জুলাই থেকে এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে।
আরেক প্রজ্ঞাপনের তথ্য বলছে, যৌথ বাহিনীর ক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট অফিসার সমতুল্য থেকে ওপরের দিকে এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তারা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে এবং সার্জেন্ট সমতুল্য থেকে নিচের দিকের কর্মচারীরা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। তবে সেটা এক হাজার ৫০০ টাকার কম হবে না।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মাদরাসা ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা জাতীয় বেতন স্কেলের সমমানের গ্রেড-৯ থেকে ওপরের দিকে মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং গ্রেড ১০ থেকে নিচের দিকে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়া নিয়ে আলোচনা থাকার মধ্যে ২ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে তাঁদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধার’ পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পরদিন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এখন সেই বিশেষ সুবিধা পুনর্বণ্টন করে নতুন প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে।