ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রামে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ছিনতাইকারীদের হাতে

কাজী মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
কাজী মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ছিনতাইকারীদের হাতে

গত আগস্টে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্রের একটি অংশ স্থানীয় অপরাধীদের কাছে চলে গেছে। এসব অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা। এসব অপরাধীর কাছে লুণ্ঠিত অস্ত্রের মধ্যে চাইনিজ রাইফেল, শটগান, এসএমজিও রয়েছে। গত দুই মাসে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাছে ধরা পড়া বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীর কাছে এসব অস্ত্র পাওয়া গেছে।

ধরা পড়া ছিনতাইকারীরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ব্যবহার করেই ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে আসছিল তারা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় গত বছরের ৫ আগস্ট। ওই দিন চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করা হয়। থানা ভবনে ভাঙচুর ও  অগ্নিসংযোগ করা হয়।

তখন লুট করা হয় ৮১৩টি অস্ত্র। জানা গেছে, এসব অস্ত্রের ১৫৭টি উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে উদ্ধার করা অস্ত্রের বেশির ভাগই ছোট অস্ত্র।
তবে চাইনিজ রাইফেল, এসএমজিসহ বড় অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই মাসে বেশ কয়েকটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৯ জুন পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলেপাড়া রানী রাশমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচ থেকে সাইদুর রহমান মাসুম নামের ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, অস্ত্রটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা থেকে লুট করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মাসুদ রানা কালের কণ্ঠকে বলেন, মাসুমের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রটি থানা থেকে লুট করা হয়েছিল। সে লুটপাটকারীদের কাছ থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেছিল। পরে অস্ত্রটি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতি করত মাসুম ও তার সহযোগীরা। এই চক্রের ছিনতাইকারীরা পাহাড়তলী থানার টোল রোডে বিদেশগামী যাত্রী, পতেঙ্গা সমূদ্রসৈকতে পর্যটকসহ অন্যান্য মানুষজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও অন্যান্য অপরাধ করত।

এর আগে গত ১৭ জুন পুলিশ চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলিসহ কাভার্ড ভ্যানচালক মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৮ মে চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলী জেলেপাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাত মো. পারভেজ ও রিয়াজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পুলিশ পাহাড়তলী থানা থেকে লুণ্ঠিত  রিভলবার ও গুলি উদ্ধার করেছে। এই অস্ত্র দিয়ে তারা ছিনতাই করত বলে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ আরিফ হোসেন নামের ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় আরিফের আস্তানা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, আরিফ  দীর্ঘদিন ধরে থানা থেকে লুট হওয়া এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন নির্জন এলাকায় পথচারী, গাড়িচালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করত। গত ১ মার্চ রানী রাসমণিঘাট গোলচত্বর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয়টি বুলেটসহ মো. মাঈনুর ইসলাম মামুন ও মো. জামাল নামের দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই অভিযানে যুক্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুই অপরাধীর কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলোও থানা থেকে লুট করা হয়েছিল। 

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, থানা থেকে লুট করে অস্ত্র দিয়ে ছিনতাই করত এমন কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আকারে ছোট অস্ত্রের অনেকগুলোই ছিনতাইকারীদের হাতে গিয়েছিল। এগুলো পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হচ্ছে। তবে আকারে বড় অস্ত্রগুলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের  উপকূলীয় এলাকার জলদস্যুদের হাতে চলে গেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ছোট আকৃতির যেসব অস্ত্র লুট হয়েছিল তা ক্রমান্বয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। বড় অস্ত্রগুলো আমরা এখনো পুরোপুরি উদ্ধার করতে পারিনি। এগুলো উদ্ধারে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ