সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন। এই খাত শক্তিশালী করা না গেলে পররাষ্ট্রনীতি কার্যকর করা সম্ভব হবে না। আমি দুঃখিত, একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছাড়া আপনি আপনার কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষা দেয়।
সেনাপ্রধান বলেছেন
শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া পররাষ্ট্রনীতি কার্যকর করা সম্ভব নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (এফএসডিএস)’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বিভিন্ন শাখার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বিভক্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে এফএসডিএসের একটি বড় দায়িত্ব হলো তারা গবেষণা করবে এবং আমাদের পরামর্শ দেবে কোন ক্ষেত্রকে প্রথমে উন্নত করা প্রয়োজন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে বহু গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসাধারণ কাজ করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমরা তাদের গবেষণার প্রতিফলন সরকারি নীতি প্রণয়নে তেমনভাবে দেখতে পাই না। এটি একটি বড় সমস্যা। কারণ যত ভালো গবেষণাই করা হোক না কেন, যত গুরুত্বপূর্ণ ফলই আসুক না কেন, যদি সরকার নিজে বা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে তার কোনো কার্যকারিতা থাকে না। আমি এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দেব, কারণ তাঁরা এতে অংশ নিলে এটি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সমৃদ্ধ করবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশ্বে অনেক নেতা ছিলেন, কিন্তু তাঁদের সবার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬২ সালে জওয়াহেরলাল নেহরু তাঁর শাসনামলে একটি বড় ভূখণ্ড হারিয়ে অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত হয়েছিলেন।’
স্বাগত বক্তব্যে এফএসডিএসের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, “এই সংস্থার লক্ষ্য হলো জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির স্বার্থে সবার মধ্যে সহযোগিতা ও সংযোগ বৃদ্ধি করা। যদিও একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা আরো কিছু চিন্তাশীল প্রতিষ্ঠান আছে, এফএসডিএসের মূল দৃষ্টিভঙ্গি হবে ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। আমাদের প্রধান মনোযোগ থাকবে জাতীয় নিরাপত্তা, বেসামরিক ও সামরিক খাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখা।”
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের জন্য বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বৈশ্বিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সামুদ্রিক অঞ্চল। এর প্রাকৃতিক সম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুটগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহ ক্রমে বাড়ছে, যা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তায় প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ককেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা অপরিহার্য, যা আমাদের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের মূলভিত্তি হতে পারে। দুঃখজনকভাবে, আমাদের রাজনৈতিক আলোচনায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রায়ই উপেক্ষিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাংলাদেশ বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান উত্তেজনা, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ, রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসবাদী হুমকি। এই চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এফএসডিএসের মূল লক্ষ্য এই চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা, সম্ভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করা এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ তৈরি করা। আমাদের কার্যক্রম হবে অরাজনৈতিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গবেষণা-বিশ্লেষণভিত্তিক।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘ভারসাম্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আমাদের খুবই প্রয়োজন। আমরা ভূমিগত দিক থেকে খুবই ভালো পজিশনে আছি। এটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দরজার খুবই কাছে কোল্ড ওয়ার। সে জন্য চীন ও ভারতের সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে ডিল করতে হবে। এই দুটি দেশ নিজেরা-নিজেরা শত্রুভাবাপন্ন।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, এম নুরুদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, বিমানবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপি চেয়ারপাসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স