রাজধানীর বাজারে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে। গত দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের মাংস কেজিপ্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পবিত্র শবেবরাত ও রোজা ঘিরে গরু-ছাগল আর মুরগির মাংসের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, সেগুনবাগিচা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
যা এত দিন ছিল ৭৫০ টাকা। রাজধানীর কিছু এলাকায় আরেকটু কম দামে গরুর মাংস পাওয়া যেত। কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের জিহাদ ব্রয়লার হাউজের বিক্রেতা মো. বায়োজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খামারি পর্যায়ে বাড়তি দামের কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়তি। এখন সোনালি মুরগির তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচার মুরগি বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়তি।’
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাংসের দোকানে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
বেশির ভাগ ক্রেতা শবেবরাত উপলক্ষে পরিবারের জন্য মাংস কিনতে এসেছেন। কেউ কেউ দাম বেশি শুনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার বাড়তি দামেই কিনছেন।
জোয়ারসাহারা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শবেবরাত ও রোজা ঘিরে হাটে গরুর দাম বেড়েছে। গত কয়েক দিনে আকারভেদে একেকটি গরুর দাম পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দেখা যাচ্ছে।
বেশি দামে গরু কিনে আগের দামে মাংস বিক্রি করলে তো লোকসান গুনতে হবে। লাভ বলে কিছুই থাকবে না।
বেশির ভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু সবজির দাম সামান্য বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, নতুন দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে আমদানি করা রসুন আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, কোথাও কোথাও আরেকটু কম। চিনির প্যাকেট ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা কেজি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা।