বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘চাঁদাবাজির পথ প্রশস্ত করতে শহীদরা প্রাণ বিলিয়ে দেননি। তাঁরা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন একটি বৈষম্যহীন সুন্দর দেশ তৈরির জন্য।’
গতকাল সোমবার সকাল থেকে ফেনীতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।
ফেনী শহরের সুলতানপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মিতুল চন্দ্র দাসসহ তিন পরিবারকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ নতুন বসতঘর হস্তান্তর করেন ডা. শফিকুর রহমান।
পরে মহিপালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের কবর জিয়ারত করেন। পরে পশুরাম উপজেলায় বল্লারমুখ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি।
দুপুরে ফেনী শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় অংশগ্রহণ করেন জামায়াতের আমির। সেখানে তিনি বলেন, ‘সরকারকে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
শহীদদের প্রাণ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হয় এমন কোনো কাজ করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।’
পরে আহত ছাত্রদের মধ্যে চিকিৎসার নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি।
বিকেলে দাগনভুঞায় আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠে এক সভায় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘শহীদেরা জাতীয় সম্পদ, তারা কোনো দলের সম্পদ নয়। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন না করলে আমরা বিশ্বাসঘাতক হয়ে যাব।
’
জনসভায় তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনে বিশ্বাসী। এ সময় ফেনী-৩ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের পাশে থেকে সমর্থন করার আহ্বান জানান তিনি।
রাতে নোয়াখালীতে পথসভায় জামায়াত আমির
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, ফেনীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শেষে রাত ৮টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যান ডা. শফিকুর রহমান। সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি।
সেখানে পথসভায় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মানুষরূপী কিছু পশু এখানে বড় ধরনের অপকর্ম করেছে।
সেদিন দেশটাকে একটা জাহান্নাম বানিয়ে রাখার কারণে মানুষ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে পারেনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা মানুষের ওপর লাঠি ঘুরাব না, ক্ষমতার গরম দেখাব না, নিজের কপাল অবৈধভাবে বড় করার চেষ্টা করব না।’