ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ভুল সমীক্ষায় বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্প

এম আর মাসফি
এম আর মাসফি
শেয়ার
ভুল সমীক্ষায় বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্প

বিশিষ্ট বিজ্ঞান কল্পকাহিনি গবেষক ও লেখক ড. জাফর ইকবালের অদূরদর্শী চিন্তা এবং পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল সমীক্ষায় নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাদ যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভুল জায়গা বাছাই, ভুল পরিকল্পনা, সম্ভাব্যতা সমীক্ষাসব কিছুতেই গলদ ছিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নেওয়া এই প্রকল্পে।

তিন বছরে সাড়ে ছয় কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হওয়ার পর প্রকল্পটি এখন বাতিল হওয়ার মুখে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে সেটি কোনো কাজেই লাগত না, ২১৩ কোটি টাকার পুরোটাই জলে যেত।

প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর একটি উপহার হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে যেসব সাধারণ সমস্যা বেশি দেখা যায়, সেগুলো থেকে রেহাই পায়নি মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণের মতো কঠোর বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক নির্ভুলতা দাবি করা জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রকল্পও।

সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পিত মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের ডোম ভূমি থেকে প্রায় ১৭২ ফুট উচ্চতায় স্থাপনের জন্য নকশা করা হয়েছিল। এই উচ্চতায় টাওয়ারটি সম্পূর্ণ নিশ্চল রাখা দুরূহ হবে। অন্যদিকে টাওয়ার নিশ্চল রাখার জন্য ভিত্তিমূল দৃঢ় করা হলে প্রকল্প ব্যয় বহুলাংশে বেড়ে যাবে, যা কারিগরি ও আর্থিকভাবে কখনোই উপযোগী নয়।

প্রকল্প নেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, কর্কটক্রান্তি রেখা, যে কাল্পনিক রেখা বরাবর সূর্য সরাসরি কিরণ দেয় এবং ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার ছেদবিন্দুতে অবস্থিত হওয়ায় মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্রের এই অবস্থানের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের কর্মকর্তারা এখন বলছেন, ভাঙ্গায় ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা ও কর্কটক্রান্তি রেখার ছেদবিন্দুর অবস্থান প্রতিবছর ১৫ মিটার করে দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চার বছরে ওই ছেদবিন্দু ৬০ মিটার দক্ষিণে সরে গিয়ে প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির দক্ষিণ সীমানার প্রায় শেষ প্রান্তে অবস্থান করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছেদবিন্দু আরো সরে যাবে। ফলে প্রকল্পের অবস্থানটি ক্রমেই গুরুত্ব হারাচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত স্থানে কৃত্রিম আলোর উপস্থিতি এবং বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্য থাকায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রাপ্ত উপাত্ত মহাকাশ গবেষণার কাজে ততটা উপযোগী হবে না।

এই মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণ করার বিষয়টি প্রথম সরকারের নজরে আনেন বিশিষ্ট কল্পকাহিনি গবেষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির এক সভায় তিনি ভাঙ্গায় একটি বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। এরপর ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

তখন প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, বিষুবরেখা, কর্কটক্রান্তি রেখা ও মকরক্রান্তি রেখাএই তিনটি কাল্পনিক রেখা পূর্ব থেকে পশ্চিমে পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছে। অন্যদিকে শূন্য (০) ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি পূর্ব, ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব-পশ্চিম ও ৯০ ডিগ্রি পশ্চিমএই চারটি দ্রাঘিমারেখা উত্তর থেকে দক্ষিণে পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত এই তিনটি রেখা এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত চারটি দ্রাঘিমার সংযোগস্থল মোট ১২টি ছেদবিন্দু তৈরি করেছে। এর মধ্যে ১০টি ছেদবিন্দুই মহাসাগরে অবস্থিত। শুধু দুটি ছেদবিন্দু রয়েছে স্থলভাগে। স্থলভাগে থাকা দুটি ছেদবিন্দুর সংযোগস্থলের একটি সাহারা মরুভূমিতে, অন্যটি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। ১২টি ছেদবিন্দুর মধ্যে ভাঙ্গার এই বিন্দুই ভ্রমণকারীরা সহজে দেখতে যেতে পারে।

তবে এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্কটক্রান্তি রেখা এবং ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার ছেদবিন্দু একটি জাতীয় মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র নির্মাণস্থল বাছাইয়ের জন্য প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো রাতের আকাশ কত দিন পরিষ্কার থাকে, কৃত্রিম আলোর দূষণ না থাকা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম হওয়া। ঘূর্ণন অক্ষ ধীরে ধীরে বদলানোর কারণে পৃথিবীর ঢাল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এর ফলে ছেদবিন্দুটি প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ৪৭ সেকেন্ড দক্ষিণে সরে যায়, যা ১০০ বছরে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সরে যাওয়ার সমান।

প্রকল্পটিতে ১০ একর জমির ওপর পাঁচতলা বৃত্তাকার (আংটি আকৃতির) একটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর কেন্দ্রে পৃথক ভিত্তিমূল থেকে এক মিটার ব্যাসের একটি মূল পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরির নকশা করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, টাওয়ারটিতে ১০ মিটার ব্যাসের অনুভূমিকভাবে ঘূর্ণায়মান একটি প্ল্যাটফরম স্থাপন করা হবে, যেখানে রেইফ্লেক্টর টেলিস্কোপ স্থাপন করা যাবে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের ভূমিস্তর এবং বৃত্তাকার প্ল্যাটফরমকে সেকেন্ডারি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

প্রস্তাবে টাওয়ারটির উচ্চতা ১০০ মিটার নির্ধারণ করা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে। পাঁচতলা বৃত্তাকার ভবনটিতে অফিসকক্ষ, শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার ও আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হতো। সম্পূর্ণ প্রকল্পের অর্থায়ন করত সরকার।

এমন ভুল পরিকল্পনায় প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন-আল-রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, এই প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে আরো ভালো সমীক্ষা দরকার ছিল, যাতে এমন প্রকল্প বাদ না যায় এবং জনগণের অর্থ অপচয় না হয়।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ