ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
চিকিৎসকের অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

ন্যাশনাল মেডিক্যাল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর

  • ► ডিএমআরসিসহ ১৫টি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
  • ► সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত
  • ► নজরুল কলেজের পরীক্ষা স্থগিত
  • ► সোহরাওয়ার্দী কলেজ ধ্বংসস্তূপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ন্যাশনাল মেডিক্যাল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর
চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে গতকাল ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

চিকিৎসকের অবহেলায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজেও হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে রাজধানীর ১৫টিরও বেশি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কবি নজরুল কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী নীরব আহমেদ বলেন, কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি), ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা কলেজ, দনিয়া কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন।

জানা গেছে, গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৫টির বেশি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা হাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান। দুপুর ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের দিক থেকে কিছু শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে যান।

প্রথমে তারা কবি নজরুল কলেজের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় তারা কলেজের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেস। এতে কলেজ ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

এরপর সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে যান মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে থাকা একটি অ্যাম্বুল্যান্স, একটি প্রাইভেট কার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। কলেজের ভেতরে শ্রেণিকক্ষের কাচ ও অডিটরিয়ামে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা।

এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে তারা বেরিয়ে যান।

পরীক্ষা দিতে আসা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা চলে যান।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী সজল বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমাদের সহপাঠী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যু এবং আমাদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে আজ সব কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছে আমাদের সঙ্গে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের একটি কক্ষের কাচও অবশিষ্ট রাখেনি। ১৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪-এর শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার মারা যান। এর এক দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অভিজিতের প্লাটিলেট কমে গেলে তার পরিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে চায়, তবে বাধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অভিজিতের মৃত্যুর পর টাকা দাবি করে লাশ আটকে রাখে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ২০ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা লাশ নিতে এলেও কোনো সমাধান হয়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।

পরদিন ২১ নভেম্বর ডিএমআরসির শিক্ষার্থীরা আবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে এলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদিন বিকেলে ফের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

হামলার বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। কলেজের কোনো অফিস এবং কোনো বিভাগের কক্ষই অক্ষত নেই। পুরো কলেজ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দুজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কলেজের গাড়িটিও ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার ফজলুল হক বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ