ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় ৫ বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় ৫ বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে একক ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তারা নিজেদের মতো করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা অনেকটাই অগোছালো রয়ে গেছে। তিন বছর পরও সংকটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গত ২৬ নভেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন।

এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। জিপিএ ৪ থেকে ৫-এর নিচে পেয়েছে তিন লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৮ জন। ফলে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করবে। এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
কিন্তু গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

সূত্র জানায়, গুচ্ছে থাকা পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই ভর্তিপ্রক্রিয়ায় থাকতে বারবার অনীহা জানাচ্ছেন। এবার তাঁরা যেকোনোভাবেই হোক গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে চান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এদের সঙ্গে একই পথে হাঁটতে চায় আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

এ অবস্থায় আজ রবিবার সকাল ১১টায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, গুচ্ছ বা একটা সমন্বিত ভর্তি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর। এটা তার ভিত্তিতেই হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি একটা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারে, তাহলে তাদের ভোগান্তি কমবে। তাই আমাদের আহবান থাকবে, যেকোনোভাবেই হোক গুচ্ছকে অটুট রাখা। আমরা উপাচার্যদের বৈঠকেও এই অটুট থাকার কথা বলব। আর একক ভর্তি নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে। আমি বলব, প্রাথমিক কাজ চলছে। তা বাস্তবায়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার।

জানা গেছে, সাধারণ ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছের নাম দেওয়া হয়েছে জিএসটি (জেনারেল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)। প্রকৌশল গুচ্ছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গুচ্ছের আটটি বিশ্ববিদ্যালয়েও আলাদা ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত চার বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর) গুচ্ছ ভর্তিতে আসেনি। এই তালিকায় আছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

এ ছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও আলাদা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। অ্যাফিলাইটিং বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে সাধারণত ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও পরে আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। এতে একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় আসছে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ায় অন্যদের ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হচ্ছে। আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা তাঁদের নিজেদের মতো করে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছেন না। এতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা থাকছে না।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গুচ্ছ নিয়ে সংকট এ বছর জোরদার হয়েছে। তবে আমরা চাইব, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আমাদের গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি ধরে রাখা। এ জন্য আমরা সব উপাচার্যকে বলব, তাঁরা যেন তাঁদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আগে নেন। কারণ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে হবে, তা নির্ধারণ করবে একাডেমিক কাউন্সিল। এখন যদি একাডেমিক কাউন্সিলের মতামত ছাড়া উপাচার্য সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, তাহলে পরে তা রক্ষা করতে অনেক বেগ পেতে হয়। 

সূত্র জানায়, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ভর্তির আওতায় আনতে গত বছরের ১৫ এপ্রিল একক ভর্তি পরীক্ষা চালুর ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই আলোকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আওতাভুক্ত করে একক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি একাধিক সভা করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৩ নামে একটি খসড়া চূড়ান্ত করে, যা গত ৩১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এ বছর একক ভর্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইউজিসি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং মেডিক্যাল-ডেন্টাল কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। কিন্তু গুচ্ছে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে তারা ঐকমত্য না থাকায় তাদের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো কোনো বৈঠকই করতে পারেনি। আর গুচ্ছের সিদ্ধান্তের কারণে কিছুটা আটকে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি। ফলে অনেকটাই অগোছালো হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সবাই বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেবেন। এর বাইরে মেডিক্যাল-ডেন্টালেও অনেকেই পরীক্ষায় বসবেন। আরো কিছু বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষা নেয়। আর তিনটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে অন্তত আট-১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এখন যদি গুচ্ছ থেকেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেরিয়ে যায়, তাহলে আর গুচ্ছেরও গুরুত্ব থাকবে না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ