ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

মাপমতো মিলছে না হার্টের রিং

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাপমতো মিলছে না হার্টের রিং

দেশের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় রোগীদের বাড়তি দামে হার্টের রিং কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে হার্টের ব্লকের মাপমতো রিং না মেলায় অনেক রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফেরত যেতে হচ্ছে। এতে হাসপাতালগুলোতে কমেছে রিং পরানোর হার।

গত ১২ ডিসেম্বর দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) নতুন মূল্য নির্ধারণ করার পর থেকে হাসপাতালগুলোতে ১০ দিন ধরে রিং সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ২৪টি আমদানিকারক ও সরবরাহকারক।

এতে এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন সরবরাহ আছে তিন কম্পানির রিং।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কম্পানি তাদের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে অনেক সময় ব্লকের আকার অনুযায়ী রিং মেলানো যাচ্ছে না।

এ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।

এমন পরিস্থিতিতে আমদানিকারক ও সরবরাহকারকদের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ ইউসূফ বলেন, আমি মনে করি না যে দুর্ভোগ আছে।

কার্ডিয়াক স্পেশালিস্টরা বলেছেন কোনো দুর্ভোগ নেই। দুূর্ভোগ হলে তাঁরা আমাদের জানাবেন। আমরা তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তাঁরা যদি মনে করেন সমস্যা হচ্ছে, তাহলে তাঁরা নিজেরাই চলে আসবেন আমাদের কাছে।

তিনি বলেন, এর আগে দাম নির্ধারণের দিন ১৩ জনের মধ্যে ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।

নতুন করে দাম নির্ধারণে জাতীয় কমিটির ১৩ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার তারিখ জানানো হবে।

মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াসিম আহমদ বলেন, রোগীদের দুর্ভোগের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত সমাধান চাইলেও ঔষধ প্রশাসন মনে হয় চায় না। তারা বলেছে, নির্বাচনের পর ব্যবস্থা নেবে।

গতকাল রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও হার্ট ফাউন্ডেশনে আসা রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে থাকা তিন কম্পানির হার্টের রিং অন্যান্য কম্পানির তুলনায় বেশি। এ ছাড়া সব ধরনের রিং না থাকায় বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যের রিং কিনতে হচ্ছে তাদের। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে দরিদ্র রোগীরা। বাধ্য হয়ে রিং না পরিয়েই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।

হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন চিকিৎসক জানান, সরবরাহ বন্ধ করার পর থেকে রোগী ফেরত যাচ্ছে। আগে দিনে ৩৫ থেকে ৪০টি রিং পরানো হতো, এখন গড়ে ২৫টিতে নেমে এসেছে। এর একমাত্র কারণ সাইজ মিলছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একজন চিকিৎসক কালের কণ্ঠকে বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৪০টির মতো হার্টের রিং পরানো হতো। এখন তা কমে দিনে ২৫টি হয়েছে। কয়েকজন রোগীর ব্লকের মাপমতো রিং না পাওয়ায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ২০টি হার্টের রিং পরানো হতো। সরবরাহ বন্ধের পর থেকে তা ১০টিতে নেমে এসেছে। যাদের বেশি জরুরি, তারা বেশি দাম হলেও রিং পরাচ্ছে। কিন্তু দরিদ্র রোগীদের ক্ষেত্রে তা বহন করার মতো না হওয়ায় ফেরত যাচ্ছে। 

বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও মূল্য নির্ধারণী কমিটির সদস্য ডা. এস এম মোস্তফা জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, হঠাৎ করে বেশ কিছু কম্পানি যেহেতু তাদের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, সে কারণে অনেক সময় ব্লকের সাইজ অনুযায়ী রিং মেলানো যাচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব এ পরিস্থিতি আমরা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই। ঔষধ প্রশাসনকে দায়িত্ব নিয়ে এ ব্যাপারে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও হাসপাতালসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তিন কম্পানির রিং। দেশে হার্টের রিংয়ের নতুন খুচরা মূল্য ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু এই নতুন দাম নিয়ে আপত্তি জানায় ইউরোপীয় রিং আমদানিকারক ও সরবরাহকারীরা। ১৬ ডিসেম্বর থেকে তারা হাসপাতালে রিং সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কম্পানির রিং। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ২০ থেকে ৪০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের রিং। অন্য কম্পানির রিং সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীর ব্লকের মাপ অনুযায়ী এসব রিং পাওয়া যাচ্ছে না।

ভারতের চেয়ে তিন গুণ বেশি দাম নির্ধারণ করার যৌক্তিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসূফ বলেন, ভারতে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় রিংয়ের ব্যবহার বেশি হয়। এতে আমদানিও বেশি। এ জন্য রিংয়ের খরচও অনেক কম।

রিংয়ের দাম সমন্বয় হলে দেশে সব ধরনের হার্টের রিং সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকায় দেওয়ার আশ্বাস দেন মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াসিম আহমদ। তিনি বলেন, সব কম্পানিকে এই দামে রিং বিক্রি করতে হবে। এটি সমন্বয় করবে ঔষধ প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি থেকে যারা আমদানি করছে, তারা শুধু তাদের মার্কআপ ফর্মুলা দিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি।

রিংয়ের মূল্যবৃদ্ধির দাবির পক্ষে থাকা আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের একাংশ জানিয়েছে, সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকা রিং ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তারা বলছে, আবার দাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সরবরাহ বন্ধ রাখবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ